আমরা সবাই জানি আলোক রশ্মী একটি স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য একটি স্বচ্ছ মাধ্যমে তীর্যকভবে আপতিত হয়। দৈনন্দিন জীবনে আলোর প্রতিসরণ হওয়ার জন্য বিভিন্ন ঘটনা অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ইত্যাদি হয়ে থাকে। মানুষের চোখ এর আলো বিচ্ছুরণ এর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে থেকেই প্রথম ক্যামেরার উৎপত্তি হয়। মিশরীয় সভ্যতায় প্রথম আলো বিচ্ছুরিত হওয়ার ঘটনা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়।মানব চক্ষুর সাথে ক্যামেরার ভীষণ মিল রয়েছে মানব চক্ষু থেকেই যখন প্রথম ক্যামেরার ধারণা পাওয়া গেল তখন মানুষের জীবন ব্যবস্থাটাই বদলে গেল। মানুষ জানতে সেগুলো কিভাবে ক্যামেরা ব্যবহার করতে হয় আর আধুনিক সভ্যতার যুগে আমরা ক্যামেরা ছাড়া কোনো একটি জিনিস ছবি তোলার কথা কল্পনাও করতে পারিনা।
ক্যামেরা:
- ক্যামেরা হচ্ছে আলোকচিত্রগ্রাহী প্লেটে লক্ষ্যবস্তুর একটি বাস্তব প্রতিবিম্ব ফেলার জন্য একটি বস্তু।
- ক্যামেরা তে একটি রুদ্ধ আলু প্রকোষ্ঠ থাকে যার ভিতর কালো রঙে রঞ্জিত ।কাল রংয়ের জন্য ক্যামেরার ভিতরে প্রবিষ্ট আলোকের প্রতিফলন সাধারণত হয়ে থাকে না।
- ক্যামেরার লেন্সের একটি নিদৃষ্ট ফোকাস দূরত্ব থাকে।
- ক্যামেরার লেন্সের অভিসারী লেন্স এর সাহায্যে লক্ষ বস্তুর প্রতিবিম্ব গ্রহণ করা যায়।
- ক্যামেরার শাটার এর সাহায্যে লেন্স এর মুখে যে কোনো সময়ের জন্য খোলা রাখা যায়।
- ডায়েট ফরমের বৃত্তাকার ছিদ্রপথ ছোট বড় করে প্রতিবিম্ব গঠনের উপযোগী প্রয়োজনীয় আলো আমরা ক্যামেরায় প্রবেশ করতে দেওয়া যেতে পারি।
মানব চক্ষু:
- মানব চক্ষুর আলোক সুবেদী অক্ষিপটের লক্ষ্যবস্তু বাস্তব উল্টায় খাটো প্রতিবিম্ব গঠিত হয়।
- মানব চক্ষু লেন্সের ফোকাস দূরত্ব এর সাথে যুক্ত পেশী বন্ধন এর সাহায্যে পরিবর্তন করা যায়।
- আপতিত আলোর তীব্রতা বেঁধে কর্নিয়ার ছিদ্রপথে আপনাকে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে প্রতিবিম্ব গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আলোক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
- চোখের অক্ষিগোলকের কৃষ্ণ প্রাচীর উদ্দালক প্রকোষ্ঠের মত প্রিয়া করে থাকে এই প্রাচীর এর জন্য চোখের ভেতর আলোকের প্রতিফলন সাধারণত হয়ে থাকে ।
- কর্নিয়া অ্যাকুয়াস হিউমার চক্ষু লেন্স ব্রিটিশ হিউমার একত্রে যে লেন্সের মতো কাজ করে সেটির নাম হল অভিসারী লেন্স এটি লক্ষ বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠন করে থাকে।
- মানুষের চোখের পাতার সাহায্যে চক্ষু লেন্সের মুখ যেকোনো সময়ের জন্য খোলা রাখা যেতে চায়।