- বাংলাদেশ ক্রিকেট জগৎ এর অন্যতম বীর খেলোয়াড় মাশরাফি।বাংলাদেশের ক্যাপটেন ফেন্টাস্টিক। ইনজুরিতে পড়ার আগে মাশরাফি যখন বল হাতে আসত অপর পাশের ব্যাটসম্যান এর বুক ধরপড় করত। যে বল হাতে দৌড়ে আসলে ব্যাটসম্যান দিশা হারিয়ে ফেলত।বলছি হার না মানা লড়াকু সৈনিক এর কথা।যার জীবন এর থেকেও ক্রিকেট এর মুল্য বেশী ছিল। একসময় তিনি ছিলেন ক্রিকেট প্রেমীদের চোখের মনি।বহু মানুষ তার সাথে সেলফি নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করত। আমি তার কথা বলছি যে ৭ বার হাটুর অপরেশন করেও মাঠে ফিরেছেন।ডক্টর যখন বলেছিল মাশরাফি আর চলতে পারবে না, তাতেও তার ইচ্ছা শক্তি কমে নি। সে চলছে দুরন্ত গতিতে সব বাধা পেরিয়ে।যখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সময় ভালো যাচ্চিল না মাশরাফি ভাই দলের ভার কাধে তুলে নেয়। দলকে সামনে থেকে লিড দেয়। তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ এর সাফল্য আসে। যদিও তিনি এখন অবসর এর দারপ্রান্তে। মাশরাফি ভাই ছিলেন নবীন ক্রিকেটারদের অভিবাবক। তিনি খেলোয়াড়দের বুজাতেন তুমি পারবা। কখন হার মানবা না। শেষ বল পযন্ত আমাদের লড়তে হবে। মাশরাফি ছিলেন বাংলার বাঘ।বাঘ যেমন প্রতিপক্ষের উপর ঝাপিয়ে পড়ে শিকার করে।তেমন মাশরাফি ভাই প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের উইকেট নিত।তিনি ব্যাটসম্যান হিসেবে খারাপ না। আমার এখন মনে পড়ে ২০১৭ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের কথা মাশরাফি ভাইয়ের অসাধারন বাটিং এর জন্য জয় পায় বাংলাদেশ। তিনি আজকাল রাজনীতিতে অসাধারন।তিনি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সাংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে সাংসদ পথে জয়লাভ করে।তিনি একজন মানব দরদি মানুষ। এই খেলোয়াড় হবার পেছেনের গল্পটা বলি।ছোট বেলায় মাশরাফি ছিল দুরন্ত বালক।পড়ালেখায় বেশী মন ছিল না তার।তিনি সারা দিন ক্রিকেট নিয়ে মেতে থাকত।এর জন্য তার বাবা তাকে অনেক শাসন করত।তার ডাক নাম ছিল কৌশিক।কৌশিক তার বাড়ির পাশের চিএা নদীতে উদ্যাম সাতার কাটও।মাশরাফি ভাই টাকার জন্য খেলত না সে খেলত দেশের জন্য। ইনজুরি তাকে মাঠের বাইরে ঠেলে দিত কিন্তুু সে আবার ফিরে আসত বাঘের গর্জনে। ইনজুরির কারনে মাশরাফি ঘরের মাঠে হওয়া ২০১১ ওয়াল্ড কাপ মিস করেন।তারপর ২০১৫ সালের ওয়াল্ড কাপের ঠিক আগে মাশরাফির ছেলে সাহিল মুতর্জা অসুস্থ হয়ে পড়ে।এ সময় মাশরাফি ভাইয়ের সহর্ধমিনী হামিদা মুতর্জা জানায় সাহিল কে ২১ টা ইনজেকশন দিতে হবে। এই রকম খবর শুনে সব বাবার ভেঙে পড়ার কথা। মাশরাফি ভাই মুটেও ভেঙে পড়েনি দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া যান।মাশরাফি বাহিনী প্রথম ম্যাচে দারুন শুরু করে।
মাশরাফি ভাইকে নিয়ে ক্রিড়া সাংবাদিক দ্রেব্রত মুখোপধ্যায় একটি বই লিখে। বইটির নাম ছিল মাশরাফি। একবার মাশরাফি ভাই বলে ছিল আমার যা টাকা আছে তাতে আমার ছেলে মেয়েরা বসে বসে খেতে পারবে।আমি নিজের জন্য খেলি না বরং দেশের জন্য খেলি। মাশরাফির ইনজুরির পর তার ভক্তদল ভাবল এই বোধয় মাশরাফির ক্রান্তিকাল চলছে।কত বড় বড় তারকারা ইনজুরি থেকে ফিরে আসতে পারেনি। সেখানে মাশরাফি ৭ টা অপরেশনের পরও খেলেছেন। এমনও দিন গেছে তাকে ব্যাথার ইনজেকশন পুশ করেও তাকে খেলতে হয়েছে। মাশরাফি মুর্তজা বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্রিক্টর। তিনি কৌশিক এবং মাশ নামেও পরিচিত। বিসিবির দলে প্রধান ভূমিকা বোলার এবং ডান হাতের ব্যাটসম্যান হিসাবে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলে, এশিয়া একাদশ, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স, খুলনা বিভাগ, কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলেছেন। তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খুব জনপ্রিয়। মাশরাফির রেকর্ড সর্বকালের দুর্দান্ত, যখন এটি ভারত বনাম বাংলাদেশ। তিনি ভারতের বিপক্ষে সত্যিই দুর্দান্ত খেলেছিলেন। ২০০৭ বিশ্বকাপে, বাংলাদেশ তার দুর্দান্ত অবদানের জন্য একটি ঐতিহাসিক ম্যাচ বাংলাদেশ বনাম ভারত জিতেছিল। সম্প্রতি মাশরাফি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে কেবল ওয়ানডে খেলেন। তাঁর অবসর মাশরাফি প্রেমিক এবং অনুরাগীদের জন্য করণীয় ছিল। তারা সংবেদনশীল হয়ে উঠছিল এবং তারা মাশরাফির প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। তিনি আমাদের গৌরব।
দুই পিচ একটি গল্প
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ সিরিজে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সেশনে টেস্ট সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ দল। পিচ ব্যাটসম্যানদের স্বদেশ...