বিশ্বের প্রতিটি কোনায় এখন আলোচনার একটি বিষয় হলো করোনাভাইরাস। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। বিশ্বের প্রায় ২১০ টি দেশে এই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এই করোনাভাইরাস হতে মুক্তি লাভের আশায় বিভিন্ন উন্নত বিশ্ব অনবরত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তথ্যের ভিত্তিতে বলা চলে মানবজাতি করোনা ভাইরাস এর টিকা বা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। এখন আমাদের জানতে হবে ভ্যাকসিন কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে। ভ্যাকসিন কোন ওষুধ বা রাসায়নিক দ্রব্য নয়। এটি অনেকটি এইরকম যে করোনা ভাইরাস এর কোন একটি অংশ বা করোনাভাইরাস কে নিষ্ক্রিয় করে মানব শরীরে প্রবেশ করানো হয়। এখন প্রশ্ন হলো ভ্যাকসিন তৈরি করতে এত সময় লাগে কেন? এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে ; ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে প্রথমে ভাইরাসটি সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে হয়, এরপর সিদ্ধান্ত নিতে হয় কি ধরনের ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে ।অনেক সময় ভাইরাসের একটি অংশ নিষ্ক্রিয় করে ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়, আবার অনেক সময় পুরো ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়, আবার অনেক সময় ভাইরাসের দেহে যে প্রোটিন থাকে সেটির মাধ্যমেও ভ্যাকসিন তৈরি করা হতে পারে I আমরা জানি বিভিন্ন দেশে যেমন চীন, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। এখন সেগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষার করা হচ্ছে। এখন আলোচনার বিষয় হল কেন এই ভ্যাকসিন সরাসরি মানবদেহে পরীক্ষা করা হচ্ছে। সরাসরি মানবদেহে পরীক্ষা করার কিছু অসুবিধা রয়েছে যেমন ভ্যাকসিন যদি ঠিকমত কাজ না করে তাহলে আরও বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা অনেকে মনে করছেন। সাধারণত কোন ভ্যাকসিন চার পাঁচ স্তরে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। প্রথমদিকে সাধারণত ছোট কোন প্রাণী যেমন ইঁদুর বাঁদর এইসব প্রাণীর উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। সর্বশেষে মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়। তবে একটি বিষয় আমাদের খুব দ্রুত ভ্যাকসিন দরকার তা না হলে বিশ্ব অর্থনীতি দিন দিন খারাপ হতে থাকবে। এই অবস্থায় ভ্যাকসিন সরাসরি মানবদেহে প্রবেশ করানো যেতে পারে। আর এই ভ্যাকসিন এর প্রভাবে খারাপ কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কম কারণ ভাইরাসের একটি অংশ নিষ্ক্রিয় করে ভ্যাকসিন বানানো হয় তাই একদম কম সম্ভাবনা থাকে এটি মানবদেহে প্রবেশ করে ক্ষতি সাধন করবে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন আবিষ্কার হোক এবং বিশ্বের সকল কিছু আবার স্বাভাবিক নিয়মে ফিরে আসুক এটাই এখন সকলের কামনা। ধীরে ধীরে অনেক দেশ লকডাউন প্রত্যাহার করছে এবং পৃথিবী আবারো স্বাভাবিক হওয়া শুরু করেছে।
স্পিড পান করে দিনাজপুরে ১০ জনের মৃত্যু !
দিনাজপুর জেলায় বিক্রমপুর নামের এক স্থানে বিষাক্ত স্পিড পানে 10 জন মৃত্যুবরণ করেছে! এই দোকানদার নাম হলো রফিকুল ইসলাম তিনি...