পৃথীবি যতদিন থাকবে এই রহস্য ততদিন থাকবে ।মানুষে বলেন রহস্য বলতে কিছু নেই , এই টা হচ্ছে মুখের কথা ।
সব দেশে রহস্যময় জায়গা রয়েছে ,বাংলাদেশে রয়েছে রহস্যময় জায়গা ।
* গানস অফ বরিশালঃ এর শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ আমল থেকে , ব্রিটিশের সময় এইর নাম ছিল বাকের গঞ্জ ।ব্রিটিশরা প্রথম ঘঠনাটি উল্লেখ করেন ,বর্ষা আসার আগে আগে গভির সাগরের দিক থেকে রহস্যময় কামান দাগার আওয়াজ আসত । ব্রিটিশ মনে করতেছিলেন হয়ত কোন জলদুস্যু কিন্তু না , পরে অনেক খুজা খুজির পর খুজে পাই নেয় কাউকে আর সেই রহস্য ব্যত করতে পারিনি কেউ ।বরিশালের কামান দাগা সর্ম্পকে আমাদের কবি সফিয়া কামাল তার জীবনীতে লেখেছিলেন , তার শৈশবে এই আওয়াজের কথা তিনি মরুব্বির কাছে শুনেছেন ।তার কথায় ১৯৫০ এর মধ্যে তিনি আর কখনো শব্দ শুনেছেন কিনা বলতে পারেন না ।
* বগা লেক : বমদের রুপকথা অনুযায়ী অনেক আগে এই পাহাড়ে এক ড্রাগন বাস করতো। বম ভাষায় বগা মানে ড্রাগন। ছোট ছোট বাচ্চাদের ধরে খেয়ে ফেলতো। গ্রামের লোকেরা ড্রাগনকে হত্যা করলে তার মুখ থেকে আগুন আর প্রচন্ড শব্দ হয়ে পাহাড় বিস্ফোরিত হয়।এখানে যে নদী রয়েছে এখনো তার গভিরতা মাপতে বা অনুমান করতে পারে নি । প্রতিবছর এর পানির রং পরির্বতন হয় ।
* চিকনকালা (নিফিউ পাড়া): এইটা বাংলাদেশের বার্মায় ঠিক মাঝামাঝি অবস্থিত যাকে আমরা বলি ময়মনসিং , যেখানে আপনি গেলে দেখতে পারবেন চিতে বাঘের ছাল বিচিয়ে রয়েছে সেটা হয় দুপুর ১২ টা তাতে কি । কাছের মুরং গ্রাম চিকনকালার লোকেরা বলে প্রতিবছর নাকি (দিনটা নির্দিষ্ট না) হঠাত কোন জানান না দিয়ে বনের ভিতর রহস্যময় ধুপ ধাপ আওয়াজ আসে। শিকারীরা আওয়াজটা শুনলেই সবাই দৌড়ে বন থেকে পালিয়ে আসে। অজানা তথ্য ও রহস্য।
সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড: অফ নো গ্রাউন্ড বা অতল স্পর্ষী। রহস্যময়
বহু আগে ব্রিটিশরা সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড নামটি দেয়। এর কারণ হলো সোয়াচ অফ নো গ্রাউন্ড যেখানে শুরু সেখানে হঠাৎ করেই পানির গভীরতা বেড়ে গেছে ,সাগরের তলদেশের রহস্য,এইটি প্রায় এক লক্ষ ২৫ হাজার বছর আগে তৈরি হয়েছে ধারনা করেছেন।
* লালবাগ কেল্লার সুড়ঙ্গ।
শোনা যায় লালবাগ কেল্লার মাটির নিচে সুরঙ্গ উদঘাটনে অনেকবারই নাকি অনেকে সুরঙ্গ দিয়ে নেমেছেন কিন্তু আর ফিরে আসেন নি। আবশেষে পরীক্ষা করার জন্য নাকি দড়ি দিয়ে বেঁধে মানুষ এবং শিকল দিয়ে বেঁধে ঘোড়া পাঠানো হয়েছে ঘন্টার পার ঘন্টা ফিরে না আসায় দড়ি এবং শিকল টেনে এনে নাকি দেখা গেছে শুধু হাড়-গোড়। ভুতের মুভির মত।