আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভাল আছেন।আজ আমি আপনাদের সামনে মোবাইল ফোনের কিছু ক্ষতিকর দিক তুলে ধরবো।
গবেষণায় দেখা গেছে যে স্মার্টফোনগুলি ক্যান্সারের সাথে যুক্ত। একটি স্মার্টফোনের সংক্রমণ সংকেত সাধারণত 900 মেগাহার্টজ হয়। এই সিগন্যালটি ফোনটিকে গরম করে। যদিও শরীর একটি গরম ফোনের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে, রেডিও তরঙ্গগুলির বিকিরণ শরীরের জন্য হুমকিস্বরুপ। এই তরঙ্গগুলি ক্যান্সার সৃষ্টি করে থাকে। হেডফোন দিয়ে কথা বলা ভাল। গবেষকদের মতে স্মার্টফোনগুলি পকেটের বদলে ব্যাগে রাখতে হবে। কারন এতে স্মার্টফোনটির ত্বকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ থাকবে না। তাই ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।
নীল আলো ক্ষতিকর প্রভাব ___
স্মার্টফোনের নীল আলো শরীরের জন্য চরম ক্ষতিকারক। এই আলো শরীরের হরমোন মেলাটোনিন ছেড়ে দিতে বাধা দেয়। ফলস্বরূপ, ঘুম বিরক্ত হয়। স্মার্টফোনের নীল আলো মাথা ব্যথা এবং চোখের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্মার্টফোনের লাইট কম রাখতে হবে। শোবার আগে কমপক্ষে 3 ঘন্টা কথা বলা ছাড়া অন্য কোনও কিছুর জন্য স্মার্টফোনটি ব্যবহার না করাই ভাল বলে আমি মনে করি।
নেটওয়ার্ক পাচ্ছে কি না?নেটওয়ার্ক এর ক্ষতিকর প্রভাব ____
এটি স্মার্টফোনে কীভাবে নেটওয়ার্ক হচ্ছে তা দেখার বিষয়। বিজ্ঞানী ড দেবরা ডেভিসের মতে, নেটওয়ার্ক যত কম, তেজস্ক্রিয়তা তত বেশি। এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়। নেটওয়ার্ক ভাল থাকলে স্মার্টফোনের বিকিরণ কম হয়। স্মার্টফোনগুলি প্রায়শই গরম হয়। ফোনটি যদি গরম থাকে তবে কিছুক্ষণের জন্য ফোনটি স্পর্শ না করা ভাল বলে মনে করেন তিনি। কারণ এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
ত্বকের সংস্পর্শে না রাখা_____
আমরা যখন ফোন ব্যবহার করি, তখন এটি থেকে এক ধরনের রেডিয়েশন বের হয়।যা ত্বকের ক্যন্সারের কারন।তাই এটি সচরাচর ত্বকের কাছাকাছি না রখাই ভাল।গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে স্মার্টফোন তরঙ্গগুলি ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে। তাই ঘুমানোর সময় স্মার্টফোনটিকে বিছানা থেকে দূরে রাখা ভাল। আপনি যদি ফোনটি কাছে রাখতে চান তবে আপনাকে এটি ফ্লাইট মোডে রাখতে পারেন।
সামনে ঝুঁকে ফোন ব্যবহার না করা____
ফোন ব্যবহার করার সময় অনেকেই তাদের ঘাড় কাত করে রাখেন। যদি এটি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে তবে এটি মেরুদণ্ডের উপর প্রচুর চাপ ফেলে। এটি ঘাড় ব্যথা এবং শরীরের গঠনে পরিবর্তন হতে পারে। তাই ফোনটি চোখের সামনে এমনভাবে রাখা উচিত যাতে ঘাড় সোজা হয়ে যায়। প্রযুক্তি নির্ভরতার এই যুগে স্মার্টফোন ছাড়া চালানো বেশ কঠিন। তাই স্মার্টফোনের ক্ষতিকারক দিকগুলি যথাসম্ভব এড়ানো উচিত। তবেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস পাবে।
আশা করি সবাই এই পোস্টে কিছু না কিছু শিখেছেন।সবাই ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।