পিটার স্মাইকেল-ডেনমার্কের এই সাবেক এই গোলকিপার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এর প্রিমিয়ার লীগের ডমিনেশন এর শুরু থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৯১ সালে স্যার এলেক্স এর ডাকে সাড়া দিয়ে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এ আগমন এই এংরি মেশিন এর৷ শুধু প্রতিপক্ষই না, নিজ দলের প্লেয়ারদের কাছেও ত্রাস ছিলেন এই লিজেন্ড। নিজের দলের প্লেয়াররা সামান্য ভুল করলেই চরম শাসন করতেন। আজকের দিনে আমরা বল প্লেইং গোল কিপার দেখি। কিন্তু ততকালীন সময়েই ভলি বা হাত দিতে চোখের পলকে নিজের এটাকিং থার্ডে থাকা প্লেয়ারের কাছে বল পৌছে দিয়ে এটাকেএ সূচনা করতেন। লিজেন্ডারি এই গোল কিপার ইউনাইটেড এর হয়ে জিতেছেন সবকিছুই। ১৯৯১-১৯৯৯ পর্যন্ত এই ৮ বছরে দেখিয়েছেন কেন তিনি ততকালীন বিশ্বের সেরা কিপার এবং অল টাইম গ্রেটেস্টদের একজন। ১৯৯৯ সালে ইউনাইটেড এর ক্যাপ্টেন হিসেবে জিতেন ট্রেবল, যা ইংল্যান্ডের অন্যকোন ক্লাব এই খেতাব এখনো অর্জন করতে পারেনি। ইউনাইটেড এর ডমিন্যান্ট ফোর্স শুরুর দুইজন মানুষের অবদান ছিল অনবদ্য। পিটার স্মাইকেল এবং কিং এরিক ক্যান্টোনা। এই লিডারদের পরশে ততকালীন ইউথ দলটা একে একে হারায় ইউরোপের সব সেরা দলকে। স্মাইকেল যখন পেনাল্টিতে দাড়াতেন তখন প্রতিপক্ষের প্লেয়ার আগেই নার্ভাস হয়ে যেত শুধুতার এটাকিং মুভ এর কারোনে। ওয়ান টু ওয়ানে বিট করা যেন দুঃসাধ্য ব্যাপার ছিল। ১৯৯৯ সালে ইউনাইটেড থেকে বিদায় নিয়ে তিনি চলে যান পর্তুগীজ লীগের দল স্পোর্টিং সিপি তে৷ প্রিমিয়ার লিগে আবার ফিরে আসেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে, ২০০২ সালে৷ সেখানে ১ সিজন খেলেই ক্লাব ফুটবল থেকে অবসর নেন এই লিজেন্ড৷ লেস্টার সিটির গোলকিপার ক্যাস্পার স্মাইকেল এই লিজেন্ড এর ছেলে। বাপ আর ছেলের মধ্যে একটা ইউনিক ব্যাপার আছে। ইউনাইটেড ২৬ বছর পরে ১৯৯২-৯৩ সালে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতে৷ দিনটি ছিল ২ মে, সেসময় পিটার এর বয়স ছিল ২৯ বছর৷ ২০১৬ সালে ক্যাস্পার যখন লেস্টার এর হয়ে প্রিমিয়ার লিগ জেতেন সেই দিনটিও ছিল ২ মে এবং ক্যাস্পার এর বয়স ছিল ২৯ বছর৷ ১৯৯১-১৯৯৯ এই ৮ বছরে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এর হয়ে পিটার স্মাইকেল সবকিছুই জিতে নেন৷ তার অর্জনগুলি একটু দেখে নেই৷