আজ (শনিবার) ভোরে ব্রাজিল মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ বলিভিয়ার সাথে ম্যাচ দিয়ে। বলিভিয়া ম্যাচের আগে নেইমারের আন্তর্জাতিক ম্যাচ সংখ্যা ছিলো ১০১টি গোল ৬১ এবং এসিস্ট ৪২ টি যা যৌথভাবে মেসির সাথে এসিস্টে সমান। শনিবার ভোরে বলিভিয়ার সাথে ১০২ তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে করেন দুটি এসিস্ট। তার দুই এসিস্টে গোল দুটি করেন ফিরমিনিয়ো এবং কৌতিনিয়ো। আর এই ম্যাচে ব্রাজিল ৫-০ গোলে জয়ী হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শুরুটা দারুণভাবে শুরু করেছে। নেইমার তার এই দুই এসিস্টের সুবাদে করে ফেললেন ৪৪ তম এসিস্ট। যা মেসির থেকে দুই এসিস্টে এগিয়ে। এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেইমার এখন এসিস্টে সবার শীর্ষে অবস্থান করছেন। আগামী ১৪ ই অক্টোবর পেরুর সাথে ব্রাজিল বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে পেরুর মাঠে অংশগ্রহণ করবে। আর এতে করে নেইমারের সামনে আরো সুবর্ন সুযোগ মেসির থেকে তার দুরত্ব আরো দীর্ঘ করে নেওয়া। নেইমার যদি হারে ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে ব্রাজিলের জার্সিতে ম্যাচ গুলো মিস করেন তাতে করে ক্যারিয়ার শেষে তার জন্য এটা অনেক বড় আক্ষেপের কারন হিসেবে দেখা দিবে। নেইমারের তুলনায় মেসি নিজ দেশের হয়ে বলা চলে সম্পুর্ন ব্যার্থতায় মোড়া একজন প্লেয়ার। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ম্যাচের মাধ্যম দিয়ে নেইমার তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন, নিজ দেশের হয়ে খেলে ফেলেছেন দুটি বিশ্বকাপ আর এই দুই বিশ্বকাপে প্রাপ্তি সেমিফাইনাল এবং কোয়ার্টার ফাইনাল। ২০১৪ সালে নেইমার কলম্বিয়ার সাথে ম্যাচে কোয়ার্টার ফাইনালে জুনেগার আঘাতে ইনজুরিতে পরে সেমিফাইনাল ম্যাচ মিস করে, আর সেই ম্যাচেই জার্মানির সাথে ৭-১ গোলে হেরে নিজেদের মাটি থেকে বিশ্বকাপের আসর থেকে বিদায় নেয় ব্রাজিল। অপরদিকে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের সাথে হেরে বিদায় নেয় ব্রাজিল। নেইমার ব্রাজিলের হয়ে ২০১৬ অলিম্পিকে জার্মানিকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলকে গোল্ড মেডেল পাইয়ে দেন এবং তার গোলের সুবাদেই সেদিন ব্রাজিল অলিম্পিকে স্বর্ন পদক লাভ করে অতীতে আর কোন প্লেয়ার ব্রাজিলকে এই সম্মান অর্জন করে দেখাতে পারেনি। ২০১৩ কনফেডারেশন কাপের ফাইনালে স্পেনের সাথে ম্যাচে নেইমার তার একার কারিশমাতেই কাবু করে ফেলেছিলেন। সেদিন বিশ্বসেরা গোলকিপার ইকার ক্যাসিয়াস ও নেইমারের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন। নেইমার ব্যাক্তি জীবনে মেসির অত্যন্ত একজন প্রিয় বন্ধু যা মেসি নিজেই স্বীকার করেছেন। বার্সেলোনাতে খেলার সময় তাদের মধ্যে যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা আমাদের মাঝে নেই। আমরা মেসি নেইমার ভক্তরা কে সেরা এটা নিয়ে তর্কে লিপ্ত হয়ে সময় নষ্ট করি আর তারা ভালোবাসার বন্ধনে দেখা হলে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে অশ্রু ঝড়ায়। নেইমার এবং মেসি তাদের রেকর্ড ভাঙ্গা গড়ার পাল্লা দিয়ে আমাদের আরো কিছুদিন ফুটবলের উন্মাদনায় ভাসাবে এই প্রত্যাশা ই করি।
ফুটবলের কিছু কেলেঙ্কারী যা আপনি নিজেও জানেন না!
ফুটবলের কিছু কেলেঙ্কারী যা আপনি নিজেও জানেন না: কেমন আছো সবাই আশা করি সকলেই ভাল আছেন আজকে আপনাদের সামনে তুলে...