বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকের বিষয় হচ্ছে ওজন কমানো। কমানোর জন্য চিন্তা করতে হলে,আগে জানতে হবে আমাদের ওজন কেন দিন দিন বাড়ছে কেন জন্য আমরা কমাতে পারছি না। ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে অস্বস্তি বাড়ে ক্লান্তি পারে এবং অলসতা বৃদ্ধি পায়। আমরা প্রতিনিয়ত যা খাই দিনদিন তার চেয়ে বেশি খেতে চাই এটা আমাদের মস্তিষ্কে প্রোগ্রাম করা। একটু বেশি চাওয়ার অভ্যেস আমাদের মোটা করে তুলছে। সর্বপ্রথম প্রতিদিনের খাবার গ্রহণ পরিমিত করতে হবে । আমরা সকালে নাস্তা খাওয়ার পর দুপুরে খাবার খাই ৫-৬ ঘন্টা পর তারপর আবার রাতের খাবারের জন্য প্রায় পাগল হয়ে যাই কারণ দুপুরে খাবার খাওয়ার পর রাতের খাবার পর্যন্ত ৮ ঘন্টা সময় পাড়ি দিতে হয়। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে সকালে খাও রাজার মতো রাতে খাওয়া ভিখারীর মত । আমরা সকলে যতটুক পরিমাণ খাবো তার থেকে একটু পরিমাণ বেশি খাবো। রাতেরবেলা সকলের থেকেও কম খাবো অবশ্যই রাত ৮ টার আগে খাবার খেতে হবে।ওজন কমানোর জন্য পানির কোনো বিকল্প নেই। দিনে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে । আমাকে কখনো ভেবে দেখেছি আমরা কত গ্লাস পানি পান করি। সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানির মধ্যে এক চামচ মধু একটু লেবুর রস নিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে । তারপর একটু ফল খেলেন যেমন কলা যা সারা বছরই পাওয়া যায়। আমাদের তিন ঘন্টা পর পর হালকা কিছু খাওয়া উচিত যাতে মস্তিষ্ক বুঝতে না পারে আমরা ৩-৪ ঘন্টা ধরে না খেয়ে আছি এবং মস্তিষ্ক বডি ফ্যাট ছাড়া থেকে বিরত থাকতে পারে । রাত দুধ খেতে হবে এটা খুব সহজেই হজম হয় । চিনি ছাড়া দুধ খেলে আরো ভালো দুধের মধ্যে প্রাকৃতিক চিনি থাকে । সাদা জিনিস থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে যেমন সাদা চিনি সাদা লবণ ইত্যাদি। আপনার ওজন যদি ৭০ কেজি হয় তাহলে ৫০ গ্রাম প্রোটিন নিতে পারেন দিনে । দিনে ২০ মিনিটের জন্য হলেও পার্কে ঘুরতে যাবেন এটা আপনার শারীরিক ও মানসিক দুটোর ভারসাম্য বজায় থাকে। মাঝে মাঝে একটু ব্যায়াম করুন গভীর শ্বাস নিন । আর একটু জরুরী কথা দুশ্চিন্তা থেকে দুরে থাকুন কারণ বেশি চিন্তা মানসিক অশান্তি আনে এবং আপনাকে মোটা করার জন্য যথেষ্ট যদি আপনার সুস্থ ও সবসময় আত্মবিশ্বাসী থাকতে চান তাহলে নিয়মিত সঠিক ব্যায়াম, খেলাধুলা, পানি ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিশেষ নজর দিতে হবে ।আমরা নিত্যদিনের কাজে লিপ্ত হয়ে আমাদের নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভুলে যাই এটা আমাদের ভবিষ্যতে ভয়ানক রূপ নিতে পারে । ছোট ছোট অবহেলা ভবিষ্যতের জন্য বড় বড় রোগ সৃষ্টি করতে পারে। আমরা সবাই সচেতন থাকবো সুস্থ থাকবো।
স্ব-ক্ষতি কী? কেন? কীভাবে মুক্তি পেতে পারি।
বর্তমান সময়ে আমরা "স্ব-ক্ষতি" বা "সেল্ফ হার্মিং" শব্দের সাথে খুবই পরিচিত। কম বেশি আমরা সবাই আমাদের আশেপাশে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন...