বিশ্ব এখন একটি ভাইরাস এর প্রকোপে নাজেহাল। ভাইরাসটির নাম করোনা ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বিষয়টি নিয়ে বিশ্বের সব দেশকে সতর্ক করে দিয়েছে। বাংলাদেশও বাদ যায়নি এর কবল থেকে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বে।
করোনা ভাইরাস কি?
করোনা ভাইরাস এমন একটি সংক্রমক ভাইরাস যা এর আগে কখনো মানুষের মধ্যে ছড়াইনি। ভাইরাসটির আরেক নাম ২০১৯-এনসিওভি। করোনা ভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে তবে এর মধ্যে মাত্র ৭টি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন ভাইরাসটি হয়তো মানুষের দেহ কোষের ভিতরে ইতিমধ্যে গঠন পরিবর্তন করে নতুন রূপ নিচ্ছে এবং সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। যার ফলে এটি আরো বেশি বিপদজনক হয়ে উঠছে।
করোনা ভাইরাসের উৎস
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা ভাইরাসটির উৎস কোনো প্রাণী। মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে চীনের উহান শহরের সামুদ্রিক মাছ পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় এমন একটি বাজারে। করোনা ভাইরাসটি ভাইরাস পরিবারে আছে তবে এ ধরনের ৬টি ভাইরাস আগে পরিচিতি থাকলেও এখন মানুষ যেটির দ্বারা সংক্রমিত হচ্ছে সেটি নতুন।
বেশিরভাগ করোনা ভাইরাসই বিপদজনক নয়। কিন্তু আগে থেকে অপরিচিত এই নতুন ভাইরাসটি ভাইরাল নিউমোনিয়াকে মহামারির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলে যে যে লক্ষণ দেখা দেয়
জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যায় মূলত প্রধান লক্ষণ। এই ভাইরাস মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে এটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পরে। সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার মতো করেই এই ভাইরাস ছড়াই হাঁচি, কাশির মাধ্যমে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় ৫ দিন লাগে। প্রথম লক্ষণ হলো জ্বর ও তারপর দেখা দেয় শুখনো কাশি। এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট এবং তখন কোনো কোনো রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।
করোনা ভাইরাস কতটা বিপদজনক?
ইতিমধ্যে আমরা সবাই জানতে পেরেছি ভাইরাসটি কতটা বিপদজনক। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। তাছাড়াও এমন মৃত্যুও হয়ে থাকতে পারে যা চিহ্নিত হয়নি। তাই এই ভাইরাস ঠিক কতটা ভয়ংকর তা আমরা প্রতিদিনই দেখতে পাচ্ছি।
ভাইরাসটি কত দ্রুত ছড়িয়ে পরে?
ভাইরাসটি অত্যন্ত দ্রুত ছড়াতে পারে এবং বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে এই ভাইরাস একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে ছড়াতে পারে। ভাইরাসটি এখন প্রায় বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাসটির কি কোনো চিকিৎসা আছে?
যেহেতু এই ভাইরাসটি নতুন এজন্য এর কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো নেই এবং এমন কোনো চিকিৎসা নেই যা এই রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। তাহলে এর হাত থেকে রক্ষা পাবার উপায় কি? একমাত্র উপায় হলো যারা ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন বা এই ভাইরাস বহন করছেন তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।
তাছাড়া ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়েছেন বার বার হাত ধোয়া, হাত দিয়ে নাক মুখ স্পর্শ না করা, ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরা।