পর্ব-১ এর পর থেকে —-
যাই হোক, মংগলবারে সেলিম ভাই আমাদেরকে সময় দিতে পারলেন না। মনটা খারাপ হলো কিছুটা। কথা শেষ করে ফোন রেখে দিলাম। কিন্তু মনটা যেন মানছিলই না। কিছুক্ষন পরে আবার কল দিলাম। জিজ্ঞাসা করলাম বুধবারে উনি সময় দিতে পারবেন কিনা ? এবার আমার যেন আর তর সইছে না। সেলিম ভাই সময় দিলেন, বুধ বারে ওনার পাখির খামার দেখতে যাবার। আমার সাথে আরো ৩/৪ জনের যাবার কথা ছিল, কিন্তু ডেট একদিন পেছানোতে আমার সাথের যারা ছিল ওরা যেতে পারবে না। তাই আমাকে একাই যেতে হবে।
পরের দিন সকাল বেলা:
আমি ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হলাম। তার পর আমার ফেভারিট পরোটা আর ডিম পোস দিয়ে নাস্তা করলাম। আমি যেন খুবই এক্সাইটেড হয়ে যাচ্ছিলাম। কিছুক্ষণ পরে গোছল করে রেডি হয়ে নিলাম। এবার বের হবার পালা।
ঘরের মেইন দরজায় তালা লক করে বের হয়েছি। কিছুদুর যেতেই পকেটে হাত ঢুকাতেই বুঝে ফেললাম মানিব্যাগ বাসায় ভুলে ফেলে এসেছি। আবার বাসার দিকে হাটা শুরু করলাম। বাসার তালা খুলে মানিব্যাগ নিয়ে আবার তালাটা টিপে দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। কিছুদূর হেটে গাড়িতে উঠতে হয়। যথারিতি গাড়িতে উঠে পড়লাম এবং সিটে বসলাম।
গাড়ি ঠিক ৩৫ মিনিট চলার পরে নামতে হলো। নেমে একটা অটোতে উঠতে হলো। ২০ মিনিট চলার পরে অটো থেকে নেমে কিছুদুর হেটে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হলাম। আবার কিছুদুর হাটা, হেটে নতুন করে একটা গাড়িতে টিকিট কেটে উঠতে হলো। প্রায় ৪৫ মিনিট চলার পরে গাড়ি থেকে নেমে আশেপাশের লোকজন কে জিজ্ঞাসা করলাম সেলিম ভাইয়ের বাড়ির ঐদিককার ঠিকানা। ঠিকানাটা বুঝে নিয়ে একটা রিক্সা ডাক দিলাম। শহরে একটু জ্যাম থাকায় একটু বেশি সময় লেগে গেল। যাহোক আধা ঘণ্টা রিক্সায় চলার পরে সেলিম ভাইয়ের বাড়ির সামনে পৌঁছাতে পারলাম। ( ক্কক্ক হজক্ক জ্জবভ ক্কভভ লাবভ সজসজ্জ ফকফ ভদব্জ অজগ কসস ঝগ দক্ক ফফুউ জ্জগ পিউব নবভগ ওতুদ্ভ জ্জগস কগফ লখফস)
বাড়ির কেয়ার টেকারকে দেখলাম বসেই আছে। আমি কাছে যেতেই মোটা কণ্ঠে জিজ্ঞাসা, কার কাছে যাব!!
চলবে………… .