সুন্দরবনে ফিরতে শুরু করেছে জেলেরা
রনজিৎ বর্মন ঃ দীর্ঘ দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকার পর সুন্দরবন নির্ভরশীল জেলেরা বনবিভাগ থেকে পাশ পারমিট নিয়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী খালে মাছ ধরতে যাওয়া শুরু করেছে। ১লা সেপ্টেম্বর থেকে বন বিভাগ জেলেদের পাশ দিতে শুরু করেছে।
দুই মাস পর জেলেরা সুন্দরবনে মাছ ধরার অনুমতি পাওয়ায় জেলেরা যেন স্বস্থির নিশ^াস ফেলেছে। ১লা জুলাই থেকে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত মাছের প্রজনন মেীসুম হিসাবে সরকারিভাবে সুন্দরবনের নদনদীতে সকল প্রকার মৎস্য ধরা নিষেধ ছিল। ১লা সেপ্টেম্বর থেকে বন বিভাগ জেলেদের সুন্দরবনের নদ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি প্রদান করায় প্রথম দিন থেকে বন বিভাগের নিকট থেকে পাশ নিয়ে কয়েক শত জেলে ট্রলার ও নেীকা নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে।
বন বিভাগ সুত্রে প্রকাশ ৬ হাজার বর্গকিলোমিটারের সুন্দরবনে শুধু মাত্র অভয়ারাণ্য ছাড়া অন্য সকল নদীতে মাছ ধরার অনুমতি রয়েছে। প্রায় ৫শত নদ-নদী রয়েছে সুন্দরবনের মধ্যে এবং এ সকল স্থানে জেলেরা প্রবেশ করে। এর মধ্যে বেশ কিছু নদী অভয়ারাণ্য ঘোষনা করা রয়েছে সরকারিভাবে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, পদ্মপুকুর, মুন্সিগঞ্জ, রমজাননগর, কৈখালী, আটুলিয়া, শ্যামনগর, ঈশ^রীপুর সহ অন্যান্য ইউনিয়নের শত শত জেলে পরিবার সুন্দরবনের উপর নিভরশীল। গাবুরা ইউপির জেলে ফজলু , বুড়িগোয়ালীনি ইউপির আঃ হালিম বলেন আমরা উপকুলের মানুষ আমাদের জীবন , আমাদের পরিবার সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল। দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার কারণে পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে গিয়েছিল।
মুন্সিগঞ্জ গ্রামের জেলে বিল্লাল হোসেন,সুপদ জেলে বলেন করোনার প্রভাব কাজ কর্ম কম তার উপর সুন্দরবনে মাছ ধরা বন্ধ সব মিলিয়ে কষ্ট ছিল। এখন মাছ ধরার অনুমতি পেয়েছি মনটা ভাল লাগছে।
এদিকে বন বিভাগ পাশ দিতে শুরু করেছে ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ফলে বন বিভাগের অফিসেও বেশ ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই আগে থেকে জাল নেীকা প্রস্তত করে রেখে ছিল শুধু অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষা যা অনেকে জেলে জানান।
এ বিষয়ে বনবিভাগ সাতক্ষীরারেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী ষ্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ বলেন ১লা সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনের অভয়ারাণ্য বাদে অন্য সকল নদী মাছ ধরার পাশ নিয়ে চার শতাধিক জেলে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।
সুন্দরবনের নদ নদীতে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধিতে ২০১৯ সাল থেকে জুলাই ও আগষ্ট মাসে সবধরনের মৎস্য সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করে বনবিভাগ।
বনবিভাগ সুত্রে প্রকাশ মাছ ধরার পাশ নিয়ে যদি কোন জেলে অন্য কোন সম্পদ আহরণ করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ছবি- সুন্দরবনের চিত্র।
রনজিৎ বর্মন
তাং-৩.৯.২০
মোবা-০১৭১২৪৪৮৯৬০