ষ্টেশনে,ট্রেন আসার অপেক্ষা করছি। খবর নিয়ে জেনেছি আরো ২৫ মিনিট লাগবে। তাই আনমনে হাঁটাহাটি করছি। ঘুরে ঘুরে দেখছি প্লাটফর্মটাকে।প্লাটফর্মের পশ্চিম কোনে কাউন্টার। তার সামনেই ওয়েটিং রুম। এর পেছনে একটি মনোরম বিশাল মসজিদ -মসজিদ দেখলেই মনে কেমন ভাল লাগা শুরু হয়। আল্লাহর ঘর বলে কথা।-বাকি সব দিকে দোকান পাট।
মানুষের আনা গোনা বেড়ে যাচ্ছে। দেখতে দেখতে শুন্য ষ্টেশনটা জন-সমদ্রের রুপ নিয়েছে।কোথাও দাড়িয়ে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। নিরিবিলি স্থান খোঁজে এক পাশে একাকী দাড়িয়ে আছি।অন্য মনঙ্ক হয়ে কিছু একটা ভাবছি।হঠাৎ অনুভব করলাম। পেছন থেকে কেউ আমার পাঞ্জাবির পাড় ধরে ঠানছে। হকচকিয়ে ফিরে তাকালাম দেখি! উদাম দেহে, পড়নে ছেঁড়া – ফাটা ছোট একটি হাফ প্যান্ট। ধুলো – কালিতে সারা শরীর মলীন,কিছু পাওয়ার আসায় হাত খানা বাড়িয়ে ধরেছে ছোট্ট বালক। কী করুন তার বদনখানি! জীর্নতায় শরীর হেংলে পড়েছে।দেখেই বুকটা চিন চিন করে উঠলো। হুশ ফিরলে বালকটি মিন মিন শব্দে হয়তো কিছু চাইছে আমার কাছে। পাওা না দিয়ে পাশে খালি থাকা বেন্ঞে বসে পড়লাম। মনটা চাঙ্গা করার জন্য মোবাইলে মনযোগ দিলাম।ভাবলাম মেঝেই হয়তো বালকটি চলে যাবে।কিন্তু মন বলছে বাকলটি কিছু দেয়া দরকার। তাই মাথা তুলে তাকালাম। খোজলাম কিন্তু পেলাম না কোথাও।তার উপর এতো জনসমাগমের ভিরে, কোথায় খোঁজবো তাকে। নিরাশ হয়ে বসে থাকলাম এর মাঝে কিকট হর্ন বাজিয়ে ট্রেন এসে পৌছালো ষ্টেশনে। দ্রুত উঠে পড়লাম। জানালার পাশে সিট নিয়ে বসে পড়লাম। মানুষ সব ট্রেনে উঠে পড়েছে। তাই ষ্টেশনটা এখন ফাকা ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। ধীর গতিতে চলছে এখনো। আস্তে আস্তে গতি বাড়ছে জানালা দিয়ে বাইরে তাঁকিয়ে আছি। বালকটি উপর হঠাৎ নজরে পড়লো।বির্শীন অসহায়ে মত কাউন্টারের এক কোনে দাড়িয়ে আছে। মনে বালকটির জন্য কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও কোন উপায় ছিল না।কারন ট্রেন তার পূর্ন গতি নিয়ে চলছে। কিন্তু মনের খোঁচটা আর নিতে পারছি না। ও যদি তোমার ছোট ভাই হতো পারতে দিয়েছি পারতে কি ফিরিয়ে দিতে? কিছুতেই পারতে না সেই হয়তো তোমার কাছে পাঁচটা টাকা পেলে। এক রায় খুদার সমান্য কিছু পুরন করতে পারতে। কিন্ত তুমি এটা কি করলে! সবায় যা করে, তুমিও করলে! আজো যখন মনে পড়ে ষ্টেশনের সেই বালকটির কথা, নিজেকে খুব মনে ছোট মনে হয়।
এই মুহূর্ত থেকেই নিয়ন্ত্রণ করুন আপনার রাগকে
রাগ এমন এক অনুভূতির নাম হয়তো এই অনুভূতিটি কারো মধ্যে কম অথবা কারো মধ্যে খুব বেশি লক্ষ্য করা যায় |...