★যে মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে বলে-আমি আর তোমাকে ভালোবাসি না।বিশ্বাস করেন সেই মেয়েটার ভালোবাসার গভীরতা মাপা সত্যিই অসম্ভব।
যে ছেলেটা কাউকে ভালোবেসে, তার কাছ থেকে অবহেলা পেতে পেতে একটা সময় বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলে- এখন আর কারো অবহেলাতেই কিচ্ছু যায় আসে না।তার বিষন্নতার গল্প কেউ কখনো টের পাবে না।
ছেলে ছেলেটা বুকে চাপা এক রাশ কষ্ট নিয়ে হাসি মুখে বলে,আমি খুব ভালো।সেই ছেলেটার হাসির পিছনে লুকিয়ে থাকা কষ্ট গুলো কেউ কখনো বুঝতে পারবে না।হাসি শুধু তুমি কেমন আছো বুঝাতে যতটা সক্ষম।ঠিক ততটাই প্রকাশ করতে সক্ষম,তুমি কতটা অভিনয় করতে অভ্যস্ত।
আত্মকেন্দ্রিক মানুষটি অসুখী জীবন যাপন করে ও সবার সামনে এসে বলে দেয়-এই তো বিন্দাস লাইফ যাচ্ছে। যখন মানুষ বুঝে যায় নিজের দুঃখ কষ্ট ও বেদনার দায় কেবল তার নিজের,তখন মানুষ নিজেকে লুকিয়ে বাঁচতে শুরু করে।সে জানে এই পৃথিবীতে কেউ কারো নয়।সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত।
কোমলমতী মেয়েটা ও বুকে হাজারো কষ্ট চেপে রেখে একটা বলে উঠে- না এখন আর কারো কথা ভেবে কষ্ট পাই না।
যে মানুষটা এক সময় কারো প্রতি সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট ছিলো।একটা সময় সেই মানুষটাই স্পষ্টবাদী বক্তার মতো বলে দেয়-আমার আর কারো প্রতি কোনো আগ্রহ নেই।
বুকে এক রাশ আর্তনাদ রেখে ও যে মানুষটা ঠোঁট বেকিয়ে হাসতে থাকে, তখন সত্যিই বুঝার কোনো উপায় থাকে না যে তার হৃদয়ে কতটা ভয়াবহতা লুকিয়ে আছে।প্রিয় মানুষটার নেশায় ভরা চোখের দিকে তাকিয়ে ও মাঝে মাঝে মিথ্যা বলতে হয়।বলতে হয়-তোমার কাজলটা না আজ ভালো লাগছে না।কারন সব অনুভূতি প্রকাশ করতে নেই।প্রকাশ করতে গেলে অবহেলা বেড়ে যায়।কিছু অনুভূতি লুকিয়ে রাখাতেই শান্তি, আনন্দ আর ভালোবাসা পাওয়া যায়।সব সময় প্রিয় মানুষটার কথা শুনতে নেই।মাঝে মাঝে নিজের বিবেক কি বলে সেটা ও শুনতে হয়।কাউকে এতটা ভালোবাসতে নেই,যেনো তার বিচ্ছিন্নতার আচ্ছন্নতায় গ্রাস করতে হয় নিজেকে।
যেই মানুষটা রাতের গভীরে চোখের নোনা জলে বালিশ রাঙিয়ে দেয়,সকাল বেলা সেই মানুষটারই ঠোঁটে অভিমানের হাসি ফোটে।এই শহরে বাঁচতে হলে পাক্কা অভিনয় করে বাঁচতে হবে।আবেগে তুমি নিজেকে যতটা ভাসাবে,ঠিক তার চাইতে বেশি ভেসে যাবে তোমার চোখের জলে।কাউকে ভালোবাসার আগে নিজেকে ভালোবাসুন।নিজেকে নিয়ে হঠাৎ হঠাৎ প্রান খুলে হাসুন।কারন দিন শেষে সবাই শূন্য।নিজের ছায়াটা ও তখন আলোর সাথে হাত মিলিয়ে নিজেকে ছেড়ে চলে যায়।