দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসার গল্প ।
রাত ১০ টা,
খুব সুন্দরি একটা মেয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে । আমাকে দেখেই বলে উঠলো ।
মেয়েঃ এই যে দাড়ান
আমিঃ জ্বি কিছু বলবেন?
মেয়েঃ হ্যা ।
আমিঃ বলুন ।
মেয়েঃ আমাকে একটু হেল্প করবেন প্লিজ!
আমিঃ কেন কি হয়েছে?
মেয়েঃ আশে পাশে কোন রিক্সা পাচ্ছিনা খুব ভয় করছে। তাই বলছিলাম আমাকে যদি একটু বাসা পর্যন্ত পৌছে দিতেন !
আমিঃ বাসার ঠিকানা বলুন ?
মেয়েঃ ২১৯ নং রোড , ৩২৫ নং বাসা ।
ছেলেঃ কিন্তু আমি তো এমন জায়গা চিনি না ।
মেয়েঃ আমিও ও চিনিনা রিক্সায়ালাকে বললে সে নিয়ে যায় ।
আমিঃআজব তো কি করবেন এখন?
মেয়েঃ আপনার বাসায় একটু নিয়ে চলুন না আজকে না হয় আপনার বাসায় রাত টা কাটিয়ে দিবো!
ছেলেঃ অসম্ভব খালি বাসায় কোণ মেয়েকে নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না।
মেয়েঃখালি বাসা মানে?
আমিঃ আব্বু আম্মু নানুর বাসায় গেছেন বেড়াতে
মেয়েঃ তাহলেও ত ভালোই
আমিঃ ভালো মানে?
মেয়েঃ মানে কেউ সন্দেহ করতে পারবে না আমি ভোর বেলায় উঠে চলে যাবো ।
আমিঃ আচ্ছা একটা কথা বলুন ত আপনে আমাকে এতো বিশ্বাস করছেন কিভাবে? আমি চাইলেই ত আপনার ক্ষতি করতে পারি ।
মেয়েঃ করবেন না সেই বিশ্বস্ত সার্টিফিকেট আছে ।
আমিঃ সার্টিফিকেট মানে?
মেয়েঃ আপনার মুখের ছোট ছোট দাড়ি গুলো ।
আমিঃ আমি আর কোন কথা বললাম না অনেক টা মুগ্ধ হয়ে মেয়েটিকে নিয়ে বাসায় ফিরলাম । তাকে অন্য রোমে রেখে ফ্রেশ হয়ে আমি শুয়ে পড়লাম । সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মেয়েটি বাসায় নেই , মনে হয় মেয়েটি চলে গেছে । পরের দিন নানুর বাড়ি থেকে আব্বু আম্মু আসলো ,এসেই আম্মু আমার রুমে ঢুকে খুব আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করতে শুরু করলো ।
আম্মুঃ তানভীর তোর জন্য একটা বঊ দেখেছি ।
আমিঃ মানে কি?
আম্মুঃ বোকা ছেলে বিয়ে করবিনা ।
আমিঃ এখোনি বিয়ে কেন আম্মু সবে মাএ চাকরি টা পেয়েছি ।
আম্মুঃ আর কোন অজুহাত চলবেনা বাবা আগামী মাসের মধ্যেই তোর বিয়ের ব্যবস্থা করতেছি।
আমিঃ যা ভাল মনে হয় তাই করো আম্মু !
আম্মু চলে যাচ্ছে এমন সময় দরজার কাছে গিয়ে পেছন ফিরে বলে উঠলো
আম্মুঃ তানভীর কাউকে পছন্দ থাকলে বলতে পারিস/
আমি মনে মনে বললাম সত্যি আমার মায়ের কোন তুলো না হয়না ।
আমিঃ না মা আমার কোন পছন্দ নেই
আম্মুঃ আম্মু মুচকি হেসে বললো কিন্তু তোকে একজন পছন্দ করে
আমি হঠাত বোকা হয়ে গেলাম ভাবনায় পরে গেলাম, যাই হক সব ভাবনা দূরে ঠেলে চাকরি তে মনোযোগ দিলাম । দেখতে দেখতে ১ মাস চলে গেলো । ১ম বেতন পেলাম ২৫০০০ হাজার টাকা । মায়ের জন্য , বাবার জন্য সামান্য শপিং করলাম , বাসায় ফিরতেই মা বলে উঠলো ,
আম্মুঃ তানভীর বাবা আমাদের জন্য আনলেই হবে, বউমার জন্য কিছু আনিস নি?
আমিঃ বউমা মানে?
আম্মুঃ হু,ম আগামী শুক্রবারেই তোর বিয়ে বলেছিলাম না এক মাসের মধ্যেই সব ব্যবস্থা করে ফেলবো ।
আমিঃ তুমি পারো ও আম্মু
বাপের একমাএ ছেলে হিসেবে নিজের বিয়ের আয়োজন নিজেকেই করতে হচ্ছে । আজ শুক্রবার আজ আমার বিয়ে।সারা দিনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এখন বাসর রাত । বাসর ঘরে ঢুকেই চমকে গেলাম, এই ত সেই মেয়ে , যে রাত ১০ টার সময় আমার হেল্প চেয়ে বাসায় এসে উঠেছিলো । আমি থ হয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রইলাম , ঘোর ভেঙ্গে দিয়ে মেয়েটি বলে উঠলো ।
মেয়েঃ কি ব্যাপাড় চমকে গেলেন?
আমিঃ তুমি?
মেয়েঃ হ্যা আমি একটা কথা কি জানেন? বিয়েটা হলো সারা জীবনের ব্যাপাড় । যাকে বিয়ে করবো তাকে একটু পরিক্ষা করে দেখবো না সে কেমন চরিত্রের ? তাই আপনার সাথে সে দিনের নাটক টা করে ছিলাম এজন্য ক্ষমা প্রার্থী !
আমিঃ তাহলে পরিক্ষায় কি পাশ করলাম?
মেয়েঃ ১০০তে ১০০ পাইছেন/
আমিঃ তাহলে মিষ্টি খাওয়ান
তারপর ভালোবাসা শুরু
আজকের গল্পটি এই পর্যন্তই
নিয়মিত ভাল বাসার গল্প পেতে কমেন্ট করে রাখুন ।
ধন্যবাদ সবাইকে ।