- বাংলাদেশ দলের সাথে ওয়ানডে যতটা মানানসই টেস্ট ক্রিকেট টা ততটা মানানসই এখনো হয়ে ওঠেনি।সাপোর্টার হয়ে এই কথাটি না মানতে চাইলেও পরিসংখ্যান কিন্তু তাই বলে।লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টি টুয়েন্টি সিরিজ হারার পর দেশে ফিরে আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।এরপর দ্বিতীয় দফায় আবার টেস্ট সিরিজের জন্য পাকিস্তান পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ দল।ফরম্যাট টা আলাদা তাই অধিনায়ক ও আলাদা।মমিনুল হক কে অধিনায়ক করে ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। তারা হচ্ছেন–তামিম ইকবাল
-সাইফ হাসান
-নাজমুল শান্ত
– মুমিনুল হক(অধিনায়ক)
-লিটন দাস
-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
– মোহাম্মদ মিথুন
-সৌম্য সরকার
-রুবেল হোসেন
-নাইম হাসান
-ইবাদত হোসেন
-আল আমিন হোসেন
-তাইজুল ইসলাম
– আবু জায়েদ রাহি
এই দল নিয়েই ভাল কিছু করার প্রত্যয় কোচ রাসেল ডোমিংগের।কোচকে আরো আশা দেখাচ্ছে বিসিএলে ভাল করা দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান দের পারফরম্যান্স। তামিম ইকবালের ত্রিপল সেঞ্চুরি, লিটন,মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি এসব ভাল কিছুরই ইংগিত দেয়। বাকিটা দেখা যাবে টাইগারদের মাঠের পারফরম্যান্স এ।দলে সাইফ হাসান দ্বিতীয় বারের মতন যুক্ত হলেও এখনো দলের হয়ে টেস্ট খেলা হয়ে ওঠেনি। সবকিছু ঠিক থাকলে এবারেই হয়তো তাকে তামিমের সাথে ওপেনিং এ দেখা যাবে।নতুন এই তরুনের দিকে তাকিয়ে থাকবে দর্শক, কারন দীর্ঘদিন ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ছিলেন সাইফ।এবার মাঠেই তা প্রমানের পালা।অনেকদিন পর রুবেল এর অন্তর্ভুক্তি দলকে আরো চাংগা করবে আশা করা যায়,সাথে এবাদত এর গতি আর রাহির সুইং।উইকেট পেস বান্ধব হলে তা উভয় দলের বোলারের জন্যই সুবিধা হবে।
এক্ষেত্রে পাকিস্তানি বোলার দের অবশ্য একটু এগিয়ে রাখা যায় তাদের গতির জন্য,তবে বাংলাদেশের বোলাররা যে তাদের দিনে কি করতে পারে তার প্রমান অনেকবারই মিলেছে।তবে সবকিছুর ভিড়ে সবাই যে সাকিব আল হাসান কে খুজে ফিরে সে কথা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা,কারন বল আর ব্যাটের পরিসংখ্যান ঘাটলে যে তার নামই সবার আগে চলে আসে।বরাবরের মতন এই সিরিজে ও বাংলাদেশ দল তাকে অনেক মিস করবে।অলরাউন্ডার এর কোটা যদি পুরন করতে হয় তবে এখন মাহমুদউল্লাহ একমাত্র ভরসা বলা চলে।এছাড়া সৌম্য সরকার ও যে ব্যাটের পাশাপাশি বলেও যে বেশ কার্যকরী হয়ে উঠেছেন।তবে টেস্টে এখনো তার বল কেমন কাজে দিবে তাই দেখার বিষয়। সাধারণত তাকে ওয়ানডে আর টি টুয়েন্টি তে বেশি বল করতেই দেখা যায়।টেইল এন্ডারে নাইম আর তাইজুল মাঝে মাঝে বেশ কার্যকরী। এখন মাঠে কোন দল কতটা আলো ছড়াবে তা দেখা শুধু এখন সময়ের ব্যাপার।
সিরিজের আলোচনার মাঝেও আরো একটি বিষয় চলে আসে,সেটা হচ্ছে নিরাপত্তা। গত টি টুয়েন্টি সিরিজের সময় পাকিস্তান যে নিরাপত্তা দেয় তা ক্রিকেট মহলে বেশ প্রশংসিত হয়।দেশে ফিরে ক্রিকেটাররা ও তাদের নিরাপত্তার প্রশংসা করেন।দ্বিতীয় দফায় ঢাকা ত্যাগ করার সময়েও তারা একই কথা বলেন যে নিরাপত্তা নিয়ে খুব একটা শংকিত নন তারা,ভাল খেলাটাই আসল লক্ষ্য।বিমানবন্দর ত্যাগ করার আগে অবশ্য তাদের মাস্ক পরে বন্দরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।কারনটা হতে পারে বিশ্বজুড়ে নতুন আতংক করোনা ভাইরাসের জন্য।তবে এ নিয়ে সাংবাদিক দের কিছু জিজ্ঞেস করতে দেখা যায়নি।
সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সময় বেলা ১১ টায়।
মুশফিক তিন মাস পর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ, প্রিয় ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আজকের পোস্ট যারা মাঠের ক্রিকেটের জন্য অধির আগ্রহে আছেন। মুশফিক তিন...