দিন দিন গরমের তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে দেশের মানুষ। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে ১৭ এপ্রিলের পর থেকে দেশের কোথাও বৃষ্টি হয় নি।
আবহাওয়া অফিস বলছে ২৭ এপ্রিলের আগে দেশের কোথাও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বঙ্গোপসাগরে বিরাজ করছে উচ্চচাপ বলয়। বৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষিণা বাতাস না থাকায় তীব্র গরমে অতীষ্ঠ জনজীবন।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দেশের ভেতর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে গরমের তীব্রতা আর বাড়তে পারে। এই মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে গরমের এমন তীব্রতা।
আবহাওয়ারঅফিসের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত বছর বৈশাখের দ্বিতীয় সপ্তাহ অর্থাৎ এপ্রিলের চতুর্থ সপ্তাহে তাপমাত্রা ছিল গড়ে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে তুলনায় বর্তমানে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি।
গত বছর এই সময়ের দিকে প্রচুর বৃষ্টিও হয়েছিল। এর আগেরর বছর ২০১৭ সালেও ছিল একই চিত্র। কিন্তু এ বছর ১৭ এপ্রিলের পর থেকে দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি। এ মাসের মধ্যে দেশের আর কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনাও দেখেছেন না আবহাওয়াবিদরা। ফলে জনজীবনে গরমের যে হাঁসফাঁস চলছে তা আরো বেশকয়েক দিন অব্যাহত থাকবে।
আবহাওয়া অফিসের পরিচালক শামসুদ্দিন আহম্মেদ গণমাধ্যমকে বলেন, সিলেটসহ দেশের বেশকয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে হালকাভাবে বৃষ্টি হবে। নিম্নচাপের প্রভাবে ৩ মে থেকে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে তার আগ পর্যন্ত মৃদু তাপপ্রবাহ বজায় থাকবে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, এবছরে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৮ ডিগ্রি,ঢাকাতে ৩৭.১ ডিগ্রি এবং ফেনি, যশোর, টাঙ্গাইলসহ বেশকয়েকটি স্থানে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, এ মাসের শেষের দিকে বৃষ্টি না হলেও আগামি মাসের শুরুর দিকে বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে তপ্ত রোদে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষদের এই রোদে কষ্ট যেন বেড়েই চলেছে। কদড় পড়েছে জুস ও শরবতের।