প্রিয় ভিউয়ার্স আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আপনারা সবসময় ভালো থাকবেন এটাই আমার কাম্য। মানব জাতি সৃষ্টির শুরু থেকেই প্রকৃতিকে নানা ভাবে জানা ও বোঝার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশাল এই মহাবিশ্বের অজানা সকল কিছু নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহের কোনো শেষ নেই। আর তাই প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ নতুন নতুন রহস্য উদ্ঘাটন করে আসছে। আমাদের মনে প্রতিনিয়তই অনেক অজানা মৌলিক প্রশ্নের উদয় হয়। যেমন: মহাবিশ্ব কি, আমাদের মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে, পৃথিবী কিভাবে মহাশূন্যে ঝুলে আছে, ইত্যাদি। প্রিয় পাঠক, আজকে আমি আপনাদের সাথে এমনি একটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবো যেটি অনেকের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগিয়েছে। বিষয়টি হলো আমাদের বাসভূমি পৃথিবীর কেন্দ্রে কি আছে? আর আমরা আদৌ কি পৃথিবীর কেন্দ্রে যেতে পারবো কিংবা যাওয়া সম্ভব? তো বন্ধুরা সে সম্পর্কে জানতে চাইলে পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
পৃথিবী হচ্ছে বিশাল এই মহাবিশ্বের অতি নগণ্য একটি গ্রহ। এটি বর্তুলাকার আকৃতির। আর আমরা এই গ্রহটির বাসিন্দা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে গোলাকার এই পৃথিবীর ওপরে আমরা সবাই বাস করি কিন্তূ এর ভিতরে কি আছে? আর আমরা সেখানে কি যেতে পারবো? আসলে পৃথিবী যখন সৃষ্টি হয়েছিল তখন এরই ছিল একটি খুবই উত্তপ্ত গ্যাসের পিন্ড। উত্তপ্ত অবস্থা থেকে এটি ধীরে ধীরে শীতল ও ঘনীভূত হয়। শীতল হওয়ার সময় ভারী উপাদান গুলো পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে জমা হয় আর হালকা উপাদান সমূহ তাদের ভরের তারতম্য অনুযায়ী নিচের দিক থেকে ক্রমান্বয়ে উপরের দিকে স্তরে স্তরে জমা হয়। আর এভাবে জমা হয়ে পৃথিবীর ভূভাগ তিনটি মন্ডলে বিভক্ত হয়। এগুলো হলো অশ্বমন্ডল, গুরুমন্ডল, ও কেন্দ্রমন্ডল। অশ্বমন্ডল এর উপরের অংশকে বলা হয় ভূ ত্বক যেখানে আমরা আমাদের চার পাশের প্রকৃতি দেখতে পাই। অশ্বমন্ডল এর গভীরতা ৩০ থেকে ৬৪ কি.মি. পর্যন্ত ধরা হয়। অশ্বমন্ডল এর নিচে গুরুমণ্ডল যেখানে সিলিকন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি ভারী পদার্থগুলো থাকে। এটি কেন্দ্রমন্ডলের উপর থেকে ২৮৯৫ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত। সবশেষে কেন্দ্র মন্ডল যেটি পৃথিবীর আসল কেন্দ্র। গুরুমন্ডল পর্যন্ত এর ব্যাসার্ধ ৩৪৭৫ কি.মি.। লোহা, সিসা, নিকেল, পারদ ইত্যাদি কঠিন ও ভারী ভারী পদার্থ দিয়ে তৈরি আমাদের পৃথিবীর কেন্দ্র। কিন্তূ পৃথিবীর প্রচণ্ড চাপে ওগুলো গলিত অবস্থায় আছে। এমন কোনো বস্তু বা পদার্থ নেই যেটি পৃথিবীর কেন্দ্রে টিকতে পারে! তো বুঝতেই পারছেন মানুষের যাওয়া টা কিভাবে সম্ভব!
আমরা যদি ইচ্ছে করি যে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে মাটি খুড়ে অন্য প্রান্তে চলে যাবো তাহলে এটা নিতান্তই বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়!! কারণ আমরা কোনো দিন কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছুতেই পারবো না তাহলে কিভাবে কেন্দ্রে অবস্থান করবো??
তো বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই। অনেক সংক্ষেপে আপনাদের কাছে এই বিষয়টি একটু বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন। আশা করি আপনারা একটু হলেও বুঝতে পেরেছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক এসব অজানা বিষয় সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবাই কে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ রইলো। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ….
জেনে নিন বিজ্ঞান আমাদের জন্য অভিশাপ নাকি আশীর্বাদ
আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার দয়ায় ভালো আছি। আজকে আমি বিজ্ঞান অভিশাপ নাকি...