করোনা বর্তমান সময়ের একটি আতংকের নাম। এটা কাউকে ক্ষমা করেনা। যে আক্রান্ত হবে সে বুঝতেই পারবেনা যে সে আক্রান্ত হয়েছে। সারাবিশ্বে আজ শুধু লাশের মিছিল।আর এর জন্য দায়ী শুধু আমরা। আমরা প্রথম থেকে করোনাকে গুরুত্ব দিইনি, হেরাফেলা করেছি। ভেবেছি কিছুই হবেনা। ফলাফল লাশের মৃত্যু মিছিল। থমকে গেছে বিশ্বের অর্থনীতির চাকা, স্থবির হয়ে গেছে পুরা বিশ্ব। তবুও আমরা থেমে নেই। এত মৃত্যু দেখেও আমাদের বোধগম্য হয়না। আমরা বের হচ্ছি প্রতিনিয়ত কোন না কোন অজুহাত নিয়ে। ফলাফল কি হবে সেটা নির্ধারন করছি আমরা।
আর যেখানে আমাদের ভয় সেই গার্মেন্টস সেক্টর খোলা রাখা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা আমার জানা নেই। একজন গার্মেন্টস কর্মীর করোনা মানে …উফ্ দীর্ঘ মৃত্যুর সারি। কে কতটুকু হারবে, কে কতটুকু জিতে বেচেঁ থাকবে সেটা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আমরা কি সত্যিই জিততে পারব এই আজব শত্রর সাথে।এই লড়ায়ের সময়সীমা কত দীর্ঘ হবে। আর কতদিন পরে আমরা একটা সুন্দর ,কর্মচঞ্চল, প্রানবন্ত সকাল দেখবো। কবে দেখবো একটা সুন্দর ভোর, কবে শুনবো পাখিদের কিচিরমিচির। কতদিন পরে নিতে পারবো একটুখানি বুকভরা নিশ্বাস। মনে ভয়,তবুও বুকভরা আশারা ঘর বাধেঁ মনের কোনায় একটা সুন্দর দিনের।আমাদের বাংলাদেশের যে অবস্থা তাতে কি আমরা নতুন দিনের প্রত্যাশা করতে পারি। অমরা লকডাউন অমান্য করে বাইরে যাচ্ছি, বাজার করছি,হাওয়া খেতে বের হচ্ছি। কি আজব পাবলিকের দেশ। আমাদের চোখের সামনে এত মৃত্যু দেখেও আমাদের বুক কাপেঁনা এতটুকু। আমরা এখনো তেলের গোডাউন বানিয়ে বসে আছি, জনগণের ত্রানের চাল চুরি করছি,লোক দেখানো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ভান করছি, ত্রান দেওয়ার ছলে ছবি তুলে তা আবার কেড়ে নিচ্ছি। আমাদের মধ্যে সত্যি বিবেকবোধ,মনুষ্যত্ব বলতে আর কিছুই বাকি রাখিনি।আমরা কি নিজেদের সভ্য মানুষ হিসেবে দাবি করতে পারি। তবু এখনো কিছুটা আশার আলো এই যে, এখনো কিছু দয়ালু, মহান মানুষ আশে এই পৃথিবীতে। তারা নিজেদের সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। কেউ নিজের জীবন বিপন্ন করে ছুটে চলেছে মানবিকতার টানে। কাজ করে চলেছে অবিরাম। স্যালুট জানাই সে সব মহান মানুষদের। আর ধন্যবাদ জানাতে হবে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। তবে যদি তিনি বিদেশ ফেরতদের ( যেখানে রেড জোন চিহ্নিত) ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত না নিতেন তবে হয়তো আমরা আজ এই অবস্থায় আসতাম না বা এই পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না। আর যদি গার্মেন্টস সেক্টর খোলার সিদ্ধান্ত না দিতেন। অবশ্য এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। পরিশেষে একটা সুন্দর নতুন দিনের ভোরের প্রত্যাশা করি। সুন্দর ও মঙ্গলময় হয়ে নিরাপদ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠুক এই পৃথিবী।
বাংলাদেশের প্রথম সফল ইউটিউবার কে ছিল?
বাংলাদেশের প্রথম সফল ইউটিউবার কে ছিল? বাংলাদেশের প্রথম সফল ইউটিউবার কে ছিল? ইউটিউব ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত আর ইউটিউব এর সাথে...