আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি।
আজকাল মানুষের উপর সকল কিছুর চাপ বেড়ে গিয়েছে অনেক। তা পড়াশোনার ক্ষেত্রেই হোক কিংবা চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রেই হোক না কেন ?মানুষ তাই এত্ত চাপের ভিতরে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। তাই যদি জীবনের আসল সান্নিদ্ধ পেতে চান এবং সেই সাথে হারিয়ে ফেলা নিজেকে পেতে চান তাহলে আপনার ভ্রমণ করা উচিত। ভ্রমণ আপনাকে সকল কাজের চাপ থেকে মুক্ত করবে এবং সেই সাথে নতুন করে কাজে মনোনিবেশ করার অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবেন।
বিষয়টা ২০১৯ সালের দিকে। জীবন তখন খুবই প্যাড়াময় হয়ে উঠেছিল। তা খানিকটা জীবনটা প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটাতে এবং জীবনের সকল ক্লান্তি সাগরের উত্তাল ঢেউ এর সাথে মিশিয়ে দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে। আমি গিয়েছিলাম ঢাকা থেকে আর আমার পরিবার উঠেছিল কুমিল্লা থেকে। প্রথমে সকলে মিলে।পরিকল্পনা করেছিলাম ট্রেন এ যাব। কিন্তু ট্রেন এ খানিকটা বিপদজ্জনক হতে পারে বিধায় বাসে যাবার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো।
নভেম্বর ১৯ তারিখের দিকে আমি সন্ধ্যা ৭ টায় কক্সবাজার একে উদ্দ্যেশে ঢাকা থেকে রওনা দেই।বাসে উঠে বরাবরের মতো ঘুমে এতটাই আচ্ছন্ন হযে গেছি যে আমার পরিবার কখনো কুমিল্লা থেকে বাসে উঠল খবরই ছিল না।
যাই হউক আমরা আনুমানিক ৩ টার দিকে সকলে মিলে পৌঁছে গেলাম।কক্সবাজারে। সবাই এতটাই ক্লান্ত ছিলাম যে হোটেলে চেক ইন করে ঘুমিয়ে পড়ি। পরদিন ঠিক সকলে তাড়াতাড়ি সকলে ঘুম থেকে উঠে বীচে চলে যাই। হোটেল থেকে আবছা দেখা গেলেও যখন পুরা সমুদ্র।যখ সামনে থেকে দেখছিলাম নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম যে উত্তাল সমুদ্র কিভাবে এটি সুন্দর হতে পারে। কিভাবে প্রতিটি উত্তাল ঢেউ তীরে এসে মিলিয়ে যায়। এই নিয়মটি একটি কথা জানান দেয় যে “দুনিয়ায় যত ক্ষমতা থাকুক না কেন দিনশেষে সকলের অবস্থান হবে একমাত্র মাটির নিচে “।
সমুদ্রের জলরাশি যখন পা ছুঁয়ে যাচ্ছিলো মনে হচ্ছিলো জীবনটা আবার শুরু হলো নতুন করে। চারদিকের এত্ত হই হুল্লোড় এক সমুদ্রের ঢেউ এর কাছে খুব অর্থহীন। আমি এবং আমার পরিবার তীরে বসে বসে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলাম। একটু পর পর উঠে গিয়ে ঝিনুক কুড়াতে গেলাম। কক্সবাজারের এর জলরাশির পাশে ঝাউবনটি মনে হচ্ছে স্বাগত জানাচ্ছে সবাইকে। সমুদ্র সৈকত এবং ঝাউবনের মিলনমেলায় এক অপুরূপ সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে আমাদেরকে। আমরা একটু পর হোটেলে গিয়ে খাওয়া যাওয়া শেষে খানিকটা বিশ্রাম নেবার পর পুনরায় আবার সূর্যাস্ত দেখার উদ্দেশ্য চলে যায়।
আমরা পরিবারের বাকি সদস্যরা ছবি তুলে অপেক্ষা করছিলো সূর্যাস্তের। পানির সাথে সূর্যের হারিয়ে যাবার এই অপুরূপ দৃশ্য নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না। আমরা সমুদ্র সৌকতের স্নিগ্ধতায় এতটাই হারিয়ে গিয়েছিলাম কিভাবে সময় যাচ্ছিলো খবরই পাইনি। তিনদিন শুধুমাত্র সি বিচের সৌন্দর্য উপভোগ করে আমরা ফিরে যাই নিজ নিজ গন্তব্যে।সেই ভ্রমণটা জীবনের সেরা ভ্রমন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে আমাদের ডায়েরির পাতায়।
সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন
Related keyword: কক্সবাজার ভ্রমণ স্থান, কক্সবাজার ভ্রমণ প্যাকেজ, কক্সবাজার ভ্রমণ খরচ, কক্সবাজার ভ্রমণ কাহিনী, কক্সবাজার ভ্রমণ ব্লগ, কক্সবাজার ভ্রমণ কবিতা, কক্সবাজার ভ্রমণ নিয়ে স্ট্যাটাস, কক্সবাজার ভ্রমণ জায়গা, কক্সবাজার ভ্রমণের উপযুক্ত সময়, কক্সবাজার ট্যুর, কক্সবাজার ভ্রমণের জায়গা, কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন ভ্রমণ, কম খরচে কক্সবাজার ভ্রমণ ২০২০, কক্সবাজার সেন্টমার্টিন ভ্রমণ প্যাকেজ, কক্সবাজার থেকে বান্দরবান ভ্রমণ, কক্সবাজার ভ্রমণ ম্যাপ, কক্সবাজার ভ্রমণ রচনা, কক্সবাজার ভ্রমণ সম্পর্কে, কক্সবাজার সেন্টমার্টিন ভ্রমণ