আস্সালামু আলাইকুম কেমন আছেন? আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করবো এই শীতে বাচ্চাদের যত্ন নিয়ে। শীত আসলেই বাচ্চাদের জ্বর, সর্দি, কাশি লেগেই থাকে তাই শীতে বাচ্চাদের দরকার বাড়তি যত্ন। শুধু তাই নয় শীতে বাচ্চাদের ত্বকের ও দরকার বাড়তি যত্ন। আসুন জেনে নেই কীভাবে শীতে বাচ্চাদের যত নেবো।
১: এই শীতে ২ বছরের নিচে বাচ্চাকে ১ দিন পর পর গোসল করাতে হবে। বাচ্চার গোসলের জন্যে বেশি সময় নিবেন না চেষ্টা করবেন ১০ মিনিটের মধ্যে গোসল শেষ করার গোসলের আগে পুরো শরীরে অলিভ অয়েল মেখে নিবেন। এতে বাচ্চার শরীর থেকে সহজেই পানি ঝরে পড়বে। অবশ্যই কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে বাচ্চার। মাথায় মাঝে মাঝে শ্যাম্পু দিবেন সবসময়ই না আর মাথা হালকা ঘষবেন।
২: গোসলের পর নরম তোয়ালে দিয়ে ভালো করে পুরো শরীর মুছে নিন। পুরো শরীরে মশ্চেরইজার লাগান অলিভ অয়েল বা বেবি অয়েল লাগাতে পারেন আর যদি বেবি লোশন লাগাতে চান তবে একদিন লাগিয়ে দেখবেন কোথাও কোনো এলার্জি দেখা দিলে আর লাগাবেন না সেক্ষেত্রে বেবি অয়েল লাগাতে পারেন। যেসব বাচ্চার ত্বক বেশি শুষ্ক তারা পেট্রোলিয়াম জেলি বা এলোভেরা জেল লাগিয়ে দেখবেন শুষ্কতা কমে যাবে।
৩: ভুলে ও চুল কাটবেন না আর চুল একেবারে ফেলে ও দিবেন না এতে বাচ্চার ঠান্ডা লেগে মারাত্মক বিপদ হতে পারে। বাচ্চাকে রাতের বেলা ডায়াপার পরিয়ে শোয়ান।
৪: যেসব বাচ্চা হামাগুড়ি দেয় তাদের কে ঠান্ডা মেঝেতে হামাগুড়ি দিতে দিবেন না পুরো মেঝেতে ম্যাট বা মাদুর বিছাতে পারেন।
৫: বাচ্চাকে নরম কাপড়ের জুতা পরিয়ে রাখুন আর পায়ে মোজা ও পরিয়ে রাখুন শোয়ার সময় ও মোজা পরিয়ে শোয়ান। সবসময়ই শোয়েটার পরিয়ে রাখবেন না আবার ঘেমে গেলে তা ও ঠান্ডা লাগবে।
৬: বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাই সবসময়ই সর্দি জ্বর লেগেই থাকে তাই এই সময় বাচ্চা নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান মেলাতে নিয়ে যাবেন না।
৭: বাচ্চার জামা কাপড় লেপ তোশক সবসময়ই রোদে দিয়ে শুকানোর চেষ্টা করুন।
৮: ১ থেকে ৬ বছর বয়সী বাচ্চাদের বেশি গরম ও ভারি কাপড় পরানোর দরকার হয় না কারণ তারা সবসময়ই দৌড়া দৌড়ি করে খেলাধুলা করে তাই তাদের ঠান্ডা একটু কম লাগে।
শুধু বাচ্চাদের যত্ন নিলে হবেনা যেই মায়েরা বাচ্চাদের দুধ খাওয়ান তাদের ও কিন্ত এই শীতে নিজের বাড়তি যত্ন নিতে হবে যাতে মা ও বাচ্চা দুই জনেই সুস্থ থাকেন ভালো থাকেন তাই নিজের ও বাচ্চার যত্ন নিন এই শীতে