- জাতীয় জীবনের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে বেকার সমস্যার সমাধান অপরিহার্য। এ সমস্যা যত দ্রুত সমাধান করা যাবে জাতির জন্য তা মঙ্গল বলে বিবেচিত হবে। বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য পরিকল্পিত শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। লেখাপড়া করার মাধ্যমে জীবনের জীবিকার কি ব্যবস্থা হবে তা আগে থেকেই ভাবা দরকার। দেশের চাহিদা বিবেচনা করে চাহিদামাফিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। দেশে বৃত্তিমূলক শিক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা দরকার এবং সাধারণ শিক্ষার অন্ধ মোহ কাটিয়ে বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি জনগণকে আগ্রহী করে তুলতে হবে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা হবে জীবনমুখী ও কর্মমুখী। ডিগ্রি অর্জন করে যাতে কোন পেশা অবলম্বন করতে পারা যায় সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে। ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর জন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস করা দরকার। বর্তমানে যে হারে মানুষ বাড়ছে তাতে ভবিষ্যতে বেকার সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠবে। শিক্ষার সু্যোগ- সুবিধা বাড়া সত্ত্বেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চহার তা ব্যর্থ করে তুলবে। দেশের অচল কলকারখানা-গুলো চালু করতে পারলে বহুলোকের কর্মসংস্থান হবে। তাছাড়া নতুন কলকারখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে। এই সাথে বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। দেশের বিলীয়মান কুটির শিল্পের উন্নতি বিধানের ব্যবস্থা করতে হবে। স্বল্প মূলধনে অতিরিক্ত জনশক্তির কর্মসংস্থানের জন্য কুটির শিল্প বিশেষ সহায়ক। পোশাক শিল্প অনেক লোকের কর্মসংস্থান করছে। এর আরও সম্প্রসারণ হতে পারে। তবে তার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা আবশ্যক। যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ডে বেকার যুবকদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দানের ব্যবস্থা আছে। স্বকর্মসংস্থানের জন্য ব্যাংক ঋণেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এসব বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে অনেকে হাঁস- মুরগির খামার,মৎস চাষ, দুগ্ধ খামার, ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করে সাফল্য লাভ করেছে। এই প্রক্রিয়া আরও উৎসাহিত করা দরকার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যে বিপুল জনশক্তির চাহিদা রয়েছে তার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানি করতে পারে। তবে এ ধরনের জনশক্তির জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দান করে তাদের দক্ষ জনশক্তি রূপে গড়ে তোলা। এখনও বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে এবং এখনও এর আরও সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে অনেক অফিসে পদ শূন্য পড়ে আছে। এসব শূন্য পদে লোক নিয়োগ করা হলে বেকার সমস্যা হালকা হতে পারে। চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বর্জন করে কর্মরত ব্যাক্তিদের পদোন্নতি ও শূন্য পদে লোক নিয়োগ করতে হবে। এভাবে বিভিন্ন দিক থেকে বেকার সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করলে এ সমস্যা আর তত ভয়াবহ বিবেচিত হবে না।
নষ্ট জীবনের গল্প
পব১ আমার নিজের জীবনের বাস্তব কাহিনী। ২০১৮ সাল আমি আলিফ ছোটন ইসলাম। একটি মেয়ের জন্য আজ আমার এই অবস্থা। মারুফার...