সুস্থ্য মস্তিষ্ক, সুস্থ্য শরীর, সুস্থ্য মন মিলে হয় সুখী জীবন। মস্তিষ্ক হলো মানবদেহের কম্পিউটার। কারণ মানব দেহের যাবতীয় সবকিছু মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। মস্তিষ্ক দ্বারাই শরীরের অন্যান্য সকল অঙ্গ প্রতঙ্গ নিয়ন্ত্রিত হয়। মস্তিষ্ককে মানবদেহের কম্পিউটার বলা হলেও আসলে মস্তিষ্ক কম্পিউটার থেকে আরও অনেক উন্নত। প্রতিটি জীব ও প্রানীকুলের চাইতে মানুষ উন্নত মস্তিষ্কের অধিকারি। এ জন্য মানুষকে সৃষ্টি জগতের শ্রেষ্ঠ জীব নলা হয়।
মস্তিষ্কের উন্নত ও সুস্থ্য রাখতে নিতে হবে যথাযথ যত্ন। কখনো কখনো অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের জন্য কখনো কখনো মস্তিষ্কে জটিলতার সৃষ্টি হয়। যার ফলে মস্তিষ্কে বিকৃতি ঘটতে পারে। এটা আমাদের কারও কাম্য নয়। তাই আজীবন সুস্থ্য থাকার জন্য আমাদের মস্তিষ্কের বিশেষভাবে যত্ন নেওয়া উচিত। আজকের আলোচনায় এই বিষয়টিই থাকছে।চলুন এবার অংশে প্রবেশ করা যাক।
মানুষেরবমস্তিষ্কের যত্ন নিতে যা যা অবশ্য করনীয় তা হল-
১। বেশি বেশি পানি পান।
২। বেশি প্রয়োজন ছাড়া দুপুরেন না ঘুমানো।
৩। সব সময় হাসিখুশি থাকা।
৪। মস্তিষ্ককে কোন না কোন কাজে লাগানো।
৫। টুকটাক ঘরের কাজে হাত দেয়া।
৬। রাগ বর্জন করা।
৭। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলা।
বেশি বেশি পানি পানঃ
প্রয়োজনমতো অক্সিজেন পেলে মস্তিষ্ক সুস্থ্য ও স্বাভাবিক থাকে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহে বাঁধা পেলে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করে না। আমরা জানি পানিতে হাইড্রোজেনসহ পর্যাপ্ত পরিমান অক্সিজেন থাকে। মস্তিষ্কের যত্ন নিতে বেশি বেশি পান করার অন্য কোন বিকল্প নেই। প্রাপ্ত বয়স্কদের পানি পানের পরিমান দৈনিক কমপক্ষে ৩ লিটারের বেশি হওয়া শ্রেয়।
বেশি প্রয়োজন ছাড়া দুপুরেন না ঘুমানোঃ
কোন না কোন বিষয়ে আমরা সব সময়ই মস্তিষ্ককে খাটুনির মধ্যে রাখি। তাই মস্তিষ্কেরও কিছু সময় বিশ্রাম দরকার। দীর্ঘক্ষন কম্পিউটার ব্যবহার করলে যেমন তার একটু বিশ্রাম দরকার, মস্তিষ্কেরও তাই। ক্লান্ত মস্তিষ্ক থেকে সব সময় ভালো প্রয়োগ আশা করা যায় না।মস্তিষ্কের জন্য ঘুম হচ্ছে বিশ্রামের সবচেয়ে ভালো উপায়। তাই সারা দিনের ক্লান্তি শেষে রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। এক্ষেত্রে যদি দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে তাহলে রাতের ঘুম পর্যাপ্ত হয় না। তাই দুপুরের ঘুম ত্যাগ করুন।রাতে পরিমিত ঘুমানোর সময় ঠিক করুন।
সব সময় হাসিখুশি থাকাঃ
হাসিখুশি থাকলে যেমন মন ভালো থাকে তেমনি মস্তিষ্কও ভালো থাকে। তাই হাসিখুশি থাকার বিকল্প খোঁজা উচিত নয়। সব সময় চুপচাপ ও হতাশ হয়ে থাকলে মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে পড়ে। এমনকি শরীরের উপরও ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
মস্তিষ্কের নিয়মিত যত্ন নিতে হলে হাসি খুশি থাকতে হবে। এর অন্য কোনো বিকল্প নেই।
মস্তিষ্ককে কোন না কোন কাজে লাগানোঃ
কথায় আছে, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। মস্তিষ্ককে অলস রেখে শয়তানকে সুযোগ করে দেয়া যাবে না। মস্তিষ্ক একটা মাংসপিন্ড যাতে নিউরন থাকে। মস্তিষ্কের নিউরন বেশি ব্যবহার দ্রুত উন্নত হয়। তাকে কর্মক্ষম রাখতে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শেখার জন্য ভাবতে থাকুন। এতে মস্তিষ্ক সচল থাকবে। মস্তিষ্ককে অলস না রেখে প্রতিনিয়ত খাটাবেন।
টুকটাক ঘরের কাজে হাত দেয়াঃ
মস্তিষ্ক সচল রাখতে ঘরে টুকটাক করা একটি উপকারী পদ্ধতি। কারন, ঘরের কাজ করে যেমন মনে প্রশান্তি পাওয়া যায় তেমনি শরীরের ব্যায়ামও হয়। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় বলে মস্তিষ্ক ভালো থকে।
রাগ বর্জন করাঃ
রাগ কিছু দেয় না বরং কেড়ে নেয়। বদমেজাজি হবেন না। রাগকে নিয়ন্ত্রন করুন। রাগের ফলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়।
ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলাঃ
মানুষ স্বভাবতই ধর্মভীরু হয়। তাই ধর্মীয় রীতিনীতি নিজের মধ্যে লালন করলে মস্তিষ্ক শিথিল থাকে। আপনার নিজের ধর্মের সুষ্ঠু চর্চা করুন।
প্রিয় পাঠক, যারা আজকের পোষ্টটি শেষ পর্যন্ত পড়েছেন আশা করি তাদের উপকারে আসবে।