সুন্দরপুর গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘর আলো করে আসে এক ফুটফুটে মেয়ে। বাবা- মা আদোর করে মেয়েটির নাম রাখে স্বপ্নাা।স্বপ্নাকে ঘিরে ওর বাবা -ময়ের ছিলো হাজারো স্বপ্ন। সেই হাজার স্বপ্নের একটি ছিলো তাদের মেয়ে বড়ো হয়ে ডাক্তার হবে,। অনেক বড়ো ডাক্তা, দেশের সব মানুষ তাকে এক নামে চিনবে, স্বপ্না দেশের দশ জনের এক জন হবে। এদিকে স্বপ্না ধীরে ধীরে বড় হতে লাগলো। যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়তো তখন বাবা-ময়ের স্বপ্ন নিয়ে খুব একটা ভাবতোনা স্বপ্না।ধীরে ধীরে স্বপ্না বড়ো হতে লাগলো আর সেই সাথে ভাবতে শুরু করলো ওর বাবা-মায়ের স্বপ্ন নিয়ে।এরপর যখন স্বপ্নার কোনো পরীক্ষা খারাপ হতো তখন ওর অনেক খারাপ লেগতো, ভাবতো ওকে দিয়ে হয়তো কিছুই হবেনা। পরীক্ষার রেজাল্ট একটু খারাপ হলে নিজেই নিজেকে বলতো ” আমি কী পারবো বাবা-মার স্বপ্ন সত্যি কর! যদি না পারি তাহলে যে বাবা-মা অনেক কষ্ট পা,, না না আমি সেটা কিছুতেই মেনে নিতে পারবোনা,সো এট এনি কষ্ট আমাকে পারতেই হবে “”। স্বপ্না এসব নিজেকে বলে বলে নিজেকে যেনো একটা পাথর বানিয়ে ফেলেছে।যে পাথুরে মন পড়াশোনা ছাড়াআর কিছুই বোঝেনা। সবসময় কে যেন তাকে বলে” তুকে যে পারতেই হবে……. “।একটা সেকেন্ড ও এ কথাগুলো ওর পিছু ছাড়েনা। একটা আনন্দ ঘন মুহুর্তেও কে যেনো ওর কানে কানে ফিসফিস করে বলে ” কি রে স্বপ্না তুই সময় নষ্ট করছিস কেন?তুই কি তুর বাবা-মার স্বপ্ন সত্যি করতে চাসনা!! “” এভাবে কথা গুলো ওকে তাড়া করে বেড়াতো।কথা গুলু কেমন যেনো বন্দি করে রাখতো তাকে যেমন ভাবে এক স্বাধীনতা প্রিয় পাখিকে খাঁচায় আটকে রাখে কোনো এক নিষ্ঠুর শিকারীী,,যে স্বাধীনতা প্রিয় পাখি চায় সব কিছু ভুলে সারাদিন গান গেয়ে ঘুরতে আর সন্ধ্যায় নিড়ে ফিরতে। যাইহোক,স্বপ্না এইবার এসএসসি পাস করেছে। এবার ওর জীবনের আর একটা অধ্যায় শুরু হতে চলছে। ও এবার একটা ভালো কলেজে ভর্তি হবে, অনেক কিছু শিখবে, অনেক কিছু জানবে। কিন্তু স্বপ্নার মনটা খারাপ। কারণ ভালো কলেজে পড়তে হলে চায় অনেক টাকা,যা তাদের নেই। এমন সময় স্বপ্নার বাবা এসে বললো, ” ও..স্বপ্না মা,কান্দিসনা,আনরা তো আছি নাকি,,তুই খালি লেহাপরা কর্, টেহার এক ব্যবস্তা হইবোই, আমরা যে তোরে ডাক্তর বানাইবার চাই ,, টেহার এক ব্যবস্তা হইবো, টেহার এক ব্যবস্তা হইবোই….. “।বলতে বলতে স্বপ্নার বাবা লাঙ্গল নিয়ে মাঠে চলে গেলো। তখন ওর মা ডেকে বলে,” ও,স্বপ্না মা,চিন্তা কইরা মাতাডা খারাপ কইরো না,তোমার বাপ যহন কইছে তহন ওনি এক ব্যবস্তা করবোই,,তোর বাজান কয়ছে আইজ কাইল এর মধ্যে গরুডা বেইচা তোরে ঢাহার এক এত্ত বরো কলেজো ভর্তি করবো,, আয় ওহন খাবি আায়,,সহাল থেইকা কিছুই খাসনাই,,,,,”””। অবশেষে স্বপ্না মোটামুটি একটা ভালো কলেজেই ভর্তি হলো,,। কিন্তু ওইদিকে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা দিতে দিতে স্বপ্নার বাবার অনেক ঋন হয়ে গেছে। এদিকে স্বপ্নার এইচএসসি পরীক্ষা শেষ। পরীক্ষা শেষ হলেও স্বপ্না একটা দিন ও সময় নষ্ট করলো না,,,মেডিকেলেে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আাবার পড়াশোনা শুরু করলো । জুলাই মাসে এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হলে স্বপ্নাা জিপিএ-৫ পেলো। এদিকে ওর মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিও ভালো।অক্টোবর মাস ,,,, স্বপ্নার সাথে আমার পরিচয় হয় বাসে। আমরা পাশাপাশি সিট এ বসে ছিলাম। আমাদের দুজনেরই পরীক্ষার সিট পরেছিলো ঢাকা সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজ এ। আামাদের দুজনেেের পরীক্ষায় ভালো হয়ে, তাই অনেক আনন্দেই ছিলাম আর গল্প করছিলাম দুজন। কিন্তু এই আনন্দ বেশি সময় স্থানী ছিলোনা। হঠাৎ এক বিকট শব্দ আর সেই সাথে রক্তাক্ত হয়ে গেলো স্বপ্নার পুরো শরীর,,, আমর পাশে নিথর হয়ে পরে আছে স্বপ্নার দেহ,,আমিও চোখে স্পস্ট কিছুই দেখছিলামনা। স্বপ্না একটা লাল রঙের ডায়েরি আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,” অনু,এইটা আামার ডায়েরি,, তোমার কাছে রাখো,,, আর হাও মাও করে কেঁদেকেঁদে বলছিলো, আমি তোমাদের স্বপ্নকে সত্যি করতে পারলামনা,,,,,,,, “। আর কি বলেছিলো আমি জানিনা। জ্ঞান ফিরলে নার্স আমাকে একটা লাল ডায়েরি দিয়ে বললো,” ম্যাডাম,এই ডায়েরিটা আমরা ঘটনাস্থলে আপনার পাশ থেকে পেয়েছি, অপারেশনেেের সময় এটা আমাদের হেফাজতে ছিলো””। খবর পেয়েছিলাম স্বপ্নার ও মেডিকেল কলেজ এ চান্স হয়েছিলো। আমি ওর গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম,,,এখন স্বপ্নার বাবা-মা আমার মাঝে স্বপ্নাকে খুঁজে।।।। আজ আমি এমবিবিএস কমপ্লিট করলাম। স্বপ্না বেচে থাকলে হয়তো স্বপ্নাও…….।। হাঁটটে তো পারিনা তাই হুইল চেয়ারে বসেই আজ স্বপ্নার সেই লাল ডায়েরিটাা পরছি, যে ডায়েরির প্রায় প্রতিটি পাতাতেই লিখা ছিলো,, এট এনি কষ্ট আমাকে ডাক্তার হতেই হবে……..
ঘরে থাকা উপকরণ দিয়েই চোখের নিচের কালো দাগ দুরিকরণ। ছেলে হোক বা মেয়ে।
***আমাদের মধ্যে অনেকেরই চোখের নিচে কালো দাগ পরে যায়। সেটা কেন হয়,,এ সম্পর্কে আমরা একটু আলোচনা করি। ***চোখের নিচে কালে...