আসসালামুয়ালাইকুম পাঠক পাঠিকাগণ।
আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন।আমার আজকের এই পোষ্ট এর টাইটেল দেখে হয়তোবা অনেকেই বুঝতে পেরেছেন যে আজ কী নিয়ে কথা হবে।
জ্বী হ্যা আজ কথা বলবো একই দিনে অর্থাৎ গত ১৯-০৯-২০২০ ইং তারিখে হঠাৎ করেই বেড়ে গেলো।কোথাও হচ্ছে মুখোমুখি সংঘর্ষ অথবা হচ্ছে ট্রেন লাইনচ্যুত।
প্রথমে পাহাড়তলী হতে ঢাকাগামী সোনারবাংলা এক্সপ্রেস এর ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে।যার ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে ঢাকা-পাহাড়তলী রুটের রেলচলাচল। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের।তাছাড়াও ক্ষতি হয় ট্রেনটির লোকোমোটিভ টির।
আবার সেইদিন সকালেই বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি- মোচাক সেকশনে মালবাহী ওয়াগন ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে ডিরেইল হয়ে পড়ে।যার ফলে পশ্চিমাঞ্চলের সাথে সকল ধরণের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে।
আবার সেইদিন বিকেল বেলাতেই হিরণপুর মহুয়া কমিউটার এর সাথে হ্যাম্ভ ট্রলির সংঘর্ষে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়।এতে কোনোরূপ হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি তবে ট্রেন ও ট্রলিটির ক্ষতি হয়েছে অনেক।
আবার সেইদিন বিকেল বেলাতেই ফুলবাড়ি- বিরামপুর সেকশন এ পঞ্চগড় এক্সপ্রেস এর তিনটি কোচ লাইনচ্যুত হয়ে ডিরেইল হয়ে পুরো ট্রেন লাইন ট্র্যাক বন্ধ হয়ে পড়ে।ট্রেনের লাইন ট্র্যাক এ লোহার পাত ব্যাবহার না করে বাশ দিয়ে দাড় করিয়ে রাখার ফলেই এই দুর্ঘটনাটি সংগঠিত হয়।
এখন অনেকের কাছেই প্রশ্ন থাকে যে ট্রেইন কেনই বা লাইনচ্যুত হয়??
এর কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে যে রেলট্র্যাক এর অবস্থা অত্যন্ত দূর্বল ও নাজুক হওা বা বগী/চাকার স্প্রিং ও সাসপেনশন দূর্বল থাকা্শিডিউল অনুযায়ী চেকিং না করা সহ ইত্যাদি কিছু।
যদিও এসকল ট্রেন দূর্ঘটনায় কোনোরূপ হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি তবে ক্ষতি হয়েছে ট্রেনের।এসকলের প্রতি যদি রেল মন্ত্রনালয় সতর্ক না হয় তাহলে অতি শীঘ্রহই বড় কোনো দূর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে বাংলাদেশ রেলরুটের ট্রেনগুলো।
আশা করা যায় এ বিষয়টি নিয়ে রেল মন্ত্রনালয় যথেষ্টভাবে অবগত রয়েছে।
তো আজ এই পর্যন্তই ছিলো দেশের রেল রুট সংক্রান্ত কিছু তথ্যাবলি।আশা করি যে আপনার কাছে ভালো লেগেছে আমার লেখা এই পোষ্ট টি ভালো লেগেছে।ভালো লাগলে আমার সাথেই থাকবেন।।
ধন্যবাদ।।