আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। বর্তমান সময়ে আমরা আমাদের জীবনকে প্রতিটি মুহূর্তে আরও এগিয়ে নিয়ে চলেছি। প্রতিটি সময় প্রতিটি সেকেন্ড আমাদের কাছে অনেক মূল্যবান। সময় পেরোনোর সাথে সাথে আমাদের বৃদ্ধি পেয়েছে চাহিদা এবং কর্মদক্ষতা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জয়যাত্রা সাথে আমরাও এগিয়ে যাচ্ছি বহুদূর। তার অনেকটা প্রকাশ পায় আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটির মধ্যেও। টেলিফোন থেকে শুরু হয়ে যার অগ্রযাত্রা বর্তমানে স্মার্টফোনে এসে পৌঁছেছে। এই স্মার্টফোন বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এই স্মার্টফোন তৈরীর জন্য মূল দুটি অংশের প্রয়োজন, একটি সফটওয়্যার অপরটি হার্ডওয়ার। আর এই হার্ডওয়ার সেকশনেই মূলত এর জীবন শক্তি বিদ্যমান। যাকে আমরা ব্যাটারি হিসেবে চিনি। সময় বাড়ার সাথে সাথে এই ব্যাটারির ধারণক্ষমতা ও বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে। আর আমরা জানি ব্যাটারিটি বৈদ্যুতিক কোষ যার ভেতর থেকে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন হয় এবং এর মধ্যেই তা সঞ্চিত হয় এবং সঠিক পরিবাহীর দ্বারা সঞ্চালিত হয়। আর এই ব্যাটারিকে চলমান রাখার জন্য একে নিয়মিত চার্জ করতে হয়।
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এই চার্জিং প্রযুক্তি ও পৌঁছে গিয়েছে একটি নতুন আঙ্গিনায়। যা আমরা বর্তমানে ফাস্ট চার্জিং অথবা কুইক চার্জিং নামে চিনি।
কুইক চার্জিং:
এর সর্বপ্রথম আগমন ঘটে স্ন্যাপড্রাগন এর হাত ধরে। বিভিন্ন ফোন কোম্পানিগুলো তাদের ফোন গুলোতে এই প্রযুক্তি বর্তমানে ব্যবহার করে। প্রত্যেক ফোন কোম্পানিগুলোর তাদের নিজস্ব ইউনিক কুইক চার্জিং প্রযুক্তি আছে যা বিভিন্ন নামে পরিচিত। একটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর জন্য এই প্রযুক্তিটি একটি অবিস্মরনীয় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু প্রত্যেক জিনিসের যেমন কিছু সুবিধা থাকে যেমন কিছু অসুবিধা ও থাকে। ফাস্ট চার্জিং এর এই কঠিন পরিস্থিতির শিকার।
কুইক চার্জিং এর সুবিধা:
এটি মূলত ব্যাটারির চার্জ এর সময়সীমা কমিয়ে আনে এবং দ্রুত চার্জিং এর কাজ সম্পাদন করে। কুইক চার্জিং এর আবার কয়েকটি ভার্সন রয়েছে। সবচেয়ে নতুন এডিশন হল কুইক চার্জিং ৫ যা বিগত বছর বাজারে লঞ্চ করা হয়। একেক ধরনের কুত্তার দিন একেক ভাবে তাদের কাজ সম্পাদন করে থাকে। কেউ চার্জিং এর কারেন্ট এর প্রবাহের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আবার কেউ বৃদ্ধি করে ভোল্টেজ এর পরিমাণ। যাইহোক খুব চার্জিং এর ফলে ফোন অনেক দ্রুত চার্জ করা সম্ভব হয়। ব্যাটারি ক্যাপাসিটি বেশি হলে সেই ক্ষেত্রে নরমাল চার্জিং ব্যবহার করলে বেশ খানিকটা সময় অপচয় করতে হয় যেখানে কুইক চার্জিং ব্যবহার করে খুব সহজেই অল্প সময়ের ভেতর মোবাইল চার্জ করে নেওয়া যায়। এর ফলে মোবাইলের পারফরম্যান্স অনেকটা বৃদ্ধি পায় কারণ ব্যাকগ্রাউন্ডে যে সকল অ্যাপ তাদের কাজ সম্পাদন করতে থাকে তাদের কাজ করার জন্য মোবাইলের ব্যাটারি সচল থাকা খুবই জরুরী।
কুইক চার্জিং এর অসুবিধা:
এর প্রধান অসুবিধা গুলোর মধ্যে একটি হলো ব্যাটারির জীবনকাল কমিয়ে ফেলা। বেশি পরিমাণ ভোল্টেজ এবং কারেন্টের প্রবাহের ফলে ব্যাটারির জীবনকাল অনেকটাই কমতে শুরু করে। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। ব্যাটারি চার্জ হতে যেরকম তাড়াতাড়ি সময় নেয় আবার ব্যাটারি ফুরিয়ে যেতেও অনেকটাই তাড়াতাড়ি সময় নেয়। তবে এই সমস্যা দেখা যায় দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর। তাছাড়া অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহ এর ফলে ব্যাটারি গরম হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে তা ব্রাস্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আর এ সকল অসুবিধা এড়ানোর জন্য বর্তমানে বিভিন্ন ফোন কোম্পানিগুলো তাদের ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করে তুলেছে। বিভিন্ন ব্যাটারির ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট অংশ পরিমাণ ফাস্ট চার্জিং করা সম্ভব হবে ফাস্ট চার্জার ব্যবহার করে। যার কারণে ফোনের ব্যাটারির জীবন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়াকে অনেকটাই মিনিমাইজ করা সম্ভব হবে। এছাড়া যে ফোনের জন্য যে পরিমাণ ফাস্ট চার্জিং বরাদ্দ করা হয় তার চেয়ে বেশি পরিমাণ ফাস্ট চার্জার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকলে ফোনের ব্যাটারি অনেকটাই সুস্থ থাকবে। সবচেয়ে ভালো হবে ফোনে দেওয়া ফাস্ট চার্জার দিয়ে সর্বদা চার্জ করার চেষ্টা করলে।
আশা করি পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ।