জেনে নিন আজকের করোনা ভাইরাস আপডেট:
করোনা ভাইরাস আজ তৃতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড গড়লো এর সাথে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড গরল। আজ বৃহস্পতিবার 14 ই মে 2020 , দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরে র করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরে র অতিরিক্ত মহা পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
আজ সর্বমোট টেস্ট করা হয়েছিল 7 হাজার 392 জনকে এর মধ্যে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায় 1 হাজার 41 জন। যা এই সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমান আক্রান্তের সংখ্যা । বিগত কালের থেকে আজকের টেস্ট সংখ্যা কম হয়েছে । যদিও আমার ধারণা যদি বিগত কালের মতই যদি বেশি টেস্ট করা হতো তাহলে এর থেকেও বেশি সংখ্যক করোনা ভাইরাস রোগে আক্রান্ত সংখ্যা পাওয়া যেত। উল্লেখ্য গতকাল 13 ই মে 2020 বুধবার , টেস্ট করা হয়েছিল প্রায় 7 হাজার 900 এর মত। আর তাতে ধরা পড়েছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী 1 হাজার 162 জন প্রায় । সে তুলনায় আজকে প্রায় 500 টি টেস্ট কম করা হয়েছে । এছাড়া আজকের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। গত 24 ঘণ্টায় প্রায় 14 জন আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এ পর্যন্ত ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা 283 জন। গতকাল রেকর্ড পরিমাণ মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে ও আজকে অনেকটাই এই মৃত্যুর হার কমেছে । 14 জনের মধ্যে 9 জন ঢাকার বাসিন্দা এবং পাঁচ জন চট্টগ্রামের বাসিন্দা ।
কিন্তু আজকের সব থেকে দুঃখের বিষয় হল বিগত 24 ঘণ্টায় কোন করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত হওয়া রোগী সুস্থ হবার খবর মেলেনি। গতকালও প্রায় 214 জন রোগী সুস্থ হওয়ার খবর জানা গিয়েছিল। বিগত দুই সপ্তাহ ধরে এমন কোন দিন ছিল না যে করোনাই আক্রান্ত রোগী সুস্থ হওয়ার খবর মেলেনি। কিন্তু আজকে দ্বিতীয় বারের মতো কোন রোগী বিগত 24 ঘন্টা সুস্থ হয়নি।
আজকে পর্যন্ত মোট করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হল 18 হাজার 863 জন প্রায়। এভাবে যদি করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে তবে তবে আশা করা যায় আগামী কালের মধ্যে 20 হাজার পূরণ হবে। কারণ আগামীকাল যদি আর 1 হাজার 137 রোগে আক্রান্ত হয় তবে কালকের মধ্যে মোট 20 হাজার করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হবে ।
আজকে পর্যন্ত করোনা ভাইরাস সনাক্ত করণ পরীক্ষা সংখ্যা দাঁড়ালো 1 লক্ষ 63 হাজার 401 টি। যার মধ্যে 18 হাজার 863 জন করো না ভাইরাসে আক্রান্ত । যা মোট পরীক্ষার প্রায় 11 শতাংশ।