গরুর মাংস এখন ৬০০ টাকায়
এবার রমজানে গরুর মাংসের দাম ৬০০ টাকায় উঠেছে । মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তরা কি পারবে মাংস কিনতে ? তাদের কপালে গুরুর মাংস আর খাওয়া হবে না । এদিকে আবার ব্রয়লার মুরগি খাইতে নিষেধাজ্ঞা, কারণ এতে নাকি আবার ক্যানসার হচ্ছে । তাহলে মানুষ খাবে কি ? মাংস খাওয়া বাদ দেবে ? তাহলে অতিথি আপ্যায়ন কেমনে হবে ?
এর চেয়ে অনেক বেশি প্রশ্ন কিন্তু মাথায় হাত , কেমনে সম্ভব ?
কথা হলো ,গরুর মাংস এখন ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । অথচ এর দাম ৫২৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে । কেউ হয়তো ৫৮০ অথবা ৬০০ টাকায় কিনছে ।
আর এই দামটা এই বছরেই বাড়িয়েছে । ধাপে ধাপে , আর বিক্রেতারা নিজেরাই ৭৫ টাকা বাড়তি করেছে । তাহলে কেমনে সম্ভব ।
যে হারে মাংসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে মাংস হাতের নাগালের বাইরে । আর এর প্রতিবাদ করা উচিত বলে মনে করেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। আমার তাই মনে হয় । এটা কি মগের মুল্লুক পাইছে নাকি । তিনি আরো বলেন ১ সপ্তাহ যদি কেউ মাংস না কেনে তাহলেই মাংসের দাম এমনি কমে আসবে। এভাবে দাম বাড়িয়ে তারা গরুর মাংস কে বিলাসিতার পন্য বানিয়েছে অথচ এটা আমাদের অতি প্রয়োজনীয় একটি খাদ্য ।
মাংসের দাম বাড়ানোর কারনে মুরগি এবং মাছের দাম আরো ৫০ থেকে ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে । আর সবজির দাম ও ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ।
যদি আমরা সকলে এর প্রতিবাদ না করি তাহলে দিন দিন আরো দাম বাড়িয়ে দেবে । জেগে উঠুন সবাই।